কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি
আজ মায়ের বিদায়ের পালা। ছোট ছোট প্যান্ডেল থেকে বনেদি বাড়ির পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হবে দিনভর। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার খিদিরপুরের দহিঘাট, বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, কুমোরটুলি, বাজাকদমতলা ঘাটে বেশি করে ক্রেন, লাইফবোট-সহ পর্যাপ্ত আলো ও বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পুরসভার তরফে বন্দর কর্তৃপক্ষকেও বলা হয়েছে এই ঘাটগুলিতে বেশি নজরদারি চালাতে।বন্দর কর্তৃপক্ষ এবার ৫০টি লাইফবোট নামাবে কলকাতার গঙ্গায়।
দূষণ কমানোর জন্য প্রতিমা গঙ্গার জলে পড়ার পর যত শীঘ্র সম্ভব তা ক্রেন মারফত তা দ্রুত তুলে ফেলা সম্ভব হয়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রতিমা নির্মাণে ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন পদার্থ থেকে গঙ্গার জলে দূষণ হতে পারে। পাশাপাশি বিসর্জনের কাজে কর্মরত কোনও ব্যক্তির যাতে প্রাণহানির আশঙ্কা না থাকে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, বড় ঘাট ছাড়া ছোট পুকুরেও নিরঞ্জন করা যাবে প্রতিমা। সেই প্রস্তুতিও করা হয়েছে পুরসভার তরফে।
তবে এবার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কোনওভাবেই ডিজে বাজানো যাবে না। এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার ২৩৮টি পয়েন্টে কড়া নজর রাখবেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে কোথাও যাতে ডিজে বাজানো হয় তবে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজে বাজালে সঙ্গে সঙ্গে সেই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রয়োজনে পুজোর কর্তারা গ্রেফতারও হতে পারেন।
- কলকাতার ৩৮টি ঘাটে বিসর্জন হয়। লেক ও অন্যান্য জলাশয় মিলিয়ে ৪০টি জায়গায় প্রতিমা বিসর্জন হয়।
- জলপুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা হাওড়ার দিকের ঘাটগুলিতেও নজর রাখবে।
- লাইফ সেভিং বোট থাকছে ১৮টি।
- ঘাটে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলার বিশেষ টিম।
- একাধিক ঘাটে ওয়াচ টাওয়ারও থাকছে।
- ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে থাকছে সিসি ক্যামেরা।
- আলোর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- রেডি থাকছে উদ্ধারকারী টিম ও ডুবুরি।