পঞ্জিকার ইতিহাস
এখনও অনেক বাঙালির দিন শুরু হয় পঞ্জিকা ধরে ও বছর শেষও হয় পঞ্জিকা ধরেই। নববর্ষের দিন পঞ্জিকা কেনার রীতি এখনও রয়েছে। বাংলায় প্রথম পঞ্জিকার প্রচলন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের রঘুনন্দন। পরে নবদ্বীপের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রামচন্দ্র বিদ্যানিধিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাংলা পঞ্জিকা প্রকাশের।
বাঙালির ঐতিহাসিক অভিধান’-এ বলা হয়েছে, বাংলা ক্যালেন্ডার মূলত তৈরি করা হয়েছিল সংস্কৃত জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গ্রন্থ ‘সূর্য সিদ্ধান্ত’র উপর ভিত্তি করে।বাংলা ভাষায় প্রথম পঞ্জিকা ছাপা হয়েছিল ১৮১৮-১৯ খ্রিস্টাব্দে বা বাংলার ১২২৫ সনে।
অবশ্য তার আগে হাতে লেখা পঞ্জিকার চল ছিল সমগ্র বাংলাতে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, নবদ্বীপ বা ভাটপাড়ার হাতে লেখা পঞ্জিকার বেশ সুনাম ছিল। তেমনই পূর্ববঙ্গে বাকলা, খানাকু্ল, গণপুরের পঞ্জিকার নামডাক ছিল। এইসব হাতে লেখা পঞ্জিকাগুলোকে তখন মানুষ পাজিঁপুথিঁ নামে ডাকত। এখন বাংলায় দু’ধরনের পঞ্জিকার প্রচলন রয়েছে। একটি গুপ্তপ্রেসের পঞ্জিকা। যা বেনিয়াটোলা লেন থেকে প্রকাশ হয়ে চলেছে।
প্রায় এক শতাব্দী ধরে দুর্গাচরণ গুপ্তের বংশধররা এই পঞ্জিকা প্রকাশ করে আসছে। আরেকটি, কবিরাজ স্ট্রিট থেকে প্রকাশিত বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকা।