কবিগুরুর কিছু অজানা গল্প
রবীন্দ্রনাথকে পুরোটা চেনা প্রায় অসাধ্য। তাঁর জীবনের এমন কিছু ঘটনা আছে, যা আমাদের একেবারেই অজানা।
১) ভানুসিংহ, অন্নকালী পাকড়াশীর মত বহু ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন রবীন্দ্রনাথ। নবীন কিশোর বর্মণ, শ্রীমতী কনিষ্ঠা, শ্রীমতী মধ্যমার মত অনেক অজানা ছদ্মনামও ছিল তাঁর। চীনে থাকাকালীন সেখানকার সরকার তাঁর নাম দেন ‘চে চুন তাং’।
২) শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়, শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতও প্রায় কবিগুরু রচিত। শান্তিনিকেতনে রবিঠাকুরের শিষ্য গীতবিতানের একটি গানের অনুকরণে রচনা করেন, “মাতা শ্রীলঙ্কা, নম নম নম নম মাতা, সুন্দর শ্রী বরণী”।
৩) ছোটবেলায় বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে হিমাচলের ডালহাউসিতে থেকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এখানেই ১৮৭৩ সালে, মাত্র ১১ বছর বয়সে রচনা করেন তাঁর প্রথম গান, ‘গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বালে’।
৪) ঠাকুর পরিবারের আদি পদবী কুশারী। কলকাতায় এসে তাঁরা ঠাকুর পদবী গ্রহণ করেন।
৫) ১৯১১ সালে মোহনবাগানের শিল্ড জয়ে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন একটি কবিতা, শীর্ষক – “দে গোল….গোল”।
৬) হিরা সিংয়ের কাছে কুস্তিবিদ্যা শিখতেন রবি।
৭) বহু সংস্থা তাদের বিজ্ঞাপনের জন্য রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে সামান্য কিছু লেখা চাইতেন। ‘কাজল কালি’ পণ্যের বিজ্ঞাপনে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “ব্যবহার করে সন্তোষলাভ করেছি, এর কালিমা বিদেশী কালির চেয়ে কোনঅংশে কম নয়”।
৮) আইন পড়তে রবীন্দ্রনাথকে বিলেত পাঠিয়েছিলেন দেবেন্দ্রনাথ। তা শেষ না করেই ফিরে আসেন রবি। প্রেসিডেন্সি কলেজে মাত্র ১ দিন ক্লাসও করেছিলেন গুরুদেব।