দেশ বিভাগে ফিরে যান

নেতাজি আজও উজ্জ্বল মণিপুরে

জানুয়ারি 23, 2024 | 2 min read

জনগোষ্ঠীর পারস্পরিক দাঙ্গায় আজ মণিপুর অগ্নিগর্ভ। হাজার হাজার মানুষ এখন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। সত্যিই কি মণিপুরে শান্তি ফেরানো অসম্ভব? অথচ ইতিহাস কিন্তু অন্য কথা বলছে। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে, বিশেষ করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীতে মণিপুরের কুকি, মেইতেই ও নাগা জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। মণিপুরের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ আইএনএ বাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিল এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।

১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল আইএনএ বাহাদুর গ্রুপের সৈন্যরা এবং শত শত স্থানীয় মানুষ মণিপুরের লোকতক হ্রদের পাশে মইরাং শহরে সমবেত হন। ওইদিন ছিল মেইতেইদের নববর্ষ। শওকত মালিক সেখানে পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেন। সেই ভাষণ স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন এম কৈরেং সিং, যিনি ১৯৬০ সালে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। স্থানীয় জনগণ এই বাহাদুর গ্রুপের সেনাদের চাল, সবজি, মাছ ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করেছিল। ১৯৪৫ সালে যখন আইএনএ বাহিনীকে পিছু হঠতে হয়, তখন ১৭ জন মণিপুরী যুবক তাদের সাথে যান। এর মধ্যে কৈরং সিং, নীলামণি সিং সহ চারজন ছিলেন মৈরাং-এর। বাকিরা ছিলেন মণিপুরী মহাসভার সদস্য।

আবার এই ১৭ জনের মধ্যে দু-জন মহিলা ছিলেন– কিন্য দেবী এবং রণধনি দেবী। পাহাড় নদী বন জঙ্গল পেরিয়ে বার্মার রেঙ্গুনে এই ১৭ জনের দল নেতাজির সঙ্গে দেখা করেন। নীলামণি সিং এর বাবা তার পারিবারিক সঞ্চয় ৩০০০ টাকা দিয়ে বলেছিলেন, যদি নেতাজির সঙ্গে দেখা করতে পারো এই টাকাটা দিও। নীলামণি সিং নেতাজির হাতে তা তুলে দেন। ১৯৪৪ সালের মে মাসে ব্রিটিশরা রেঙ্গুন পুনর্দখল করলে এই সতেরো জন যুবক ব্রিটিশের হাতে বন্দি হন। ব্রিটিশ সরকার তাদের আটক করে রেঙ্গুন সেন্ট্রাল জেলে। ১৯৪৬ সালের মে মাসে তাঁরা মুক্তি পায়। মণিপুরে ফিরে গেলে সেখানকার মানুষ তাদের স্বাগত জানান বীরের মর্যাদা দিয়ে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

নোটায় বেশি ভোট পড়লে ফের নির্বাচন? কমিশনের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
FacebookWhatsAppEmailShare
সিএএ এর জন্য, দেড় মাসে নেই একটিও আবেদন
FacebookWhatsAppEmailShare
৪০০ পার কি এবার কঠিন হবে? শঙ্কায় বিজেপি
FacebookWhatsAppEmailShare