আমিষ বনাম নিরামিষ ইস্যু এখন মোদীর প্রচারের বিষয়
না খায়ুঙ্গা না খানে দুঙ্গা – মোদীজির এই উক্তি তিনি নিজেই বাস্তবায়িত করছেন। জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী সভায় মোদীর বক্তৃতার অংশ ছিল খাবার। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চৈত্র মাসের নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়া এবং সেটা প্রদর্শন করা মোগল অত্যাচারের মানসিকতা।এর মাধ্যমে তারা অন্যদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছেন। তার নিদান, সারা বছর ইচ্ছেমতন খাবার খেতেই পারে। কিন্তু এভাবে নবরাত্রির সময় আমিষ খেয়ে সেটা জনসমক্ষে প্রচার করার মধ্যে রয়েছে খারাপ মানসিকতা। তিনি প্রশ্ন করেছেন কাদের খুশি করার জন্য এই আমিষ খাওয়া?
কয়েকদিন আগে নির্বাচন প্রচারে বেরিয়ে আর জে ডি নেতা তেজস্বী যাদব হেলিকপ্টারে নিজের মধ্যাহ্নভোজের ভিডিও প্রচার করেন। সেখানে দেখা গেছে তিনি মাছ খাচ্ছেন। কেন তিনি হিন্দু হয়ে এই চৈত্র নবরাত্রির সময় মাছ খেয়ে সেটা আবার সবাইকে দেখাচ্ছেন, প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগেও বিজেপির একাধিক নেতা মন্ত্রী আমিষ খাওয়া বন্ধ করা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে, এবার কি আস্তে আস্তে সেই পথেই এগোচ্ছে বিজেপি সরকার! তবে, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে, রামমন্দির নির্মাণের সাফল্য, ভারতের জি টুয়েন্টির সভাপতি হওয়া, বিশ্বজুড়ে তার নিজের জয়ধ্বনি হওয়া, চন্দ্রযান, ভারত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি অথবা বিকশিত ভারত — এতো বিষয় থাকতেও মোদীর এহেন বক্তৃতায় বিস্মিত রাজনৈতিক মহল। তাদের একাংশের কথায়, কে কি খাবে, কি ব্রত পালন করবে, কোন ধর্ম, ধর্মের আচার ব্যবহার গ্রহণ করবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়, সেখানেও যদি সরকারের হস্তক্ষেপ থাকে তাহলে তা স্বৈরাচার।