প্রথম দফার নির্বাচনে কোটিপতি, আসামীর ছড়াছড়ি – ফার্স্ট বয় বিজেপি
লোকসভার প্রথম পর্যায়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ২৮%ই কোটিপতি এবং ১৬% প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর সমীক্ষায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্যই সামনে এসেছে।
১৬১৮ জন প্রার্থীদের মধ্যে ৪৫০ জন (২৮%) কোটিপতি। বিজেপির ৭৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৯ জন কোটিপতি। জাতীয় কংগ্রেসের ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৯ জন কোটিপতি। এআইডিএমকের ৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জন, ডিএমকের ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জন, এবং, বিএসপির ৮৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন প্রার্থী কোটিপতি।
এছাড়া, তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন, আরজেডির ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই কোটিপতি। ওই প্রতিবেদনে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় প্রত্যেক প্রার্থীর গড় সম্পদের পরিমাণ ৪.৫১ কোটি টাকা।
এডিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির ৭৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এমনকি, তাদের মধ্যে আবার ১৪ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা।
বিজেপির পরে রয়েছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়গের দলের ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। গুরুতর ধারায় মামলা চলছে ৮ জনের বিরুদ্ধে।
তামিলনাডুর দুই প্রধান দল ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে। এদের মধ্যে ডিএমকে’র ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন এবং এআইডিএমকে’র ৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনেরও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ফৌজদারি মামলার সংখ্যার বিচারে দুই দলই একই সারিতে রয়েছে।
লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা।
মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজবাদী পার্টির ৮৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধেও চলছে ফৌজদারি মামলা। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধেও চলছে ফৌজদারি মামলা।