কেন বারবার আইন পাশ করিয়ে পিছু হটতে হয় মোদি সরকারকে?
২০২১ সাল দেখেছিলো ভারতবর্ষের কৃষকদের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় পড়ে থেকে, সিংহু-টিকরি প্রান্তরে জল কামানের সামনে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের চোখে-চোখ রেখে বিপুল প্রত্যয় দেখিয়েছিলেন কৃষকরা। তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইন ২০২১-এর নভেম্বর মাসে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এবার আবারো এক বৃহৎ আন্দোলনের মুখে দাঁড়িয়ে মোদি সরকার। রাম মন্দির দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হলেও কিছুতেই তা পারা যাচ্ছেনা। নব্য আইন সংহিতার একটি ধারার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন ট্রাক চালকরা। এর জেরে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে দেখা দিচ্ছে পেট্রল, ডিজেলের অভাব।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ন্যায় সংহিতা বিল পাস করিয়ে তাকে আইনে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অধিবেশন ছিল কার্যত বিরোধীশূন্য, কারণ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখর প্রতিযোগিতা করে সাসপেন্ড করেছিলেন বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় সরকার এখন নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে – আগে আইন পাশ করিয়ে নিয়ে পরে আলোচনা। কিন্তু এর জেরেই দেখা দিচ্ছে বিপত্তি। একের পর এক দরকারি বিল নিয়ে কোনোরকম আলোচনা না হওয়া, সাংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিল না পাঠানো ভ্রান্তি রেখে দিচ্ছে আইনে।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা পরিবহণ সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে আশ্বাস দেন, ন্যায় সংহিতার ১০৬/২ ধারা আলোচনা না করে কার্যকর করা হবে না। এই ধারায় হিট-অ্যান্ড-রান মামলায় ট্রাক চালকদের দীর্ঘ হাজতবাস এবং জরিমানার নিদান দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীদের সঙ্গে আলোচন করে সিদ্ধান্ত নিলে এতবার, সব বিষয়ে পিছু হটতে হতোনা মোদি সরকারকে।