কেন্দ্রীয় বাহিনী-বিজেপি আঁতাত: কমিশনে তৃণমূল
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের প্রধান সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ এবং বিজেপি নেতাদের দ্বারা বাংলার পুলিশের অপমানের প্রতিবাদে নালিশপত্র জমা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। ডেলিগেশনের অংশ হিসেবে পৌঁছেছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব ও সাকেত গোখলে।
উপনির্বাচনের প্রচারে ভাষণ দিতে গিয়ে ‘অশোক স্তম্ভকে চূড়ান্ত অপমান করেছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এদিন তাঁকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবিও তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নির্বাচনী অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সুস্মিতা দেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল ইলেকেশন কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছে। ২০০৩ সালের ইলেকশন কমিশন ডিপ্লয়মেন্ট এক্ট বলে যে যেকোনো রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে গেলে তাদের সঙ্গে একজন করে সেই রাজ্যের পুলিশকর্মী থাকা বাধ্যতামূলক।
কিন্তু বাংলার উপনির্বাচনের আগে দেখা যাচ্ছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে কাজ করছেন বিজেপির পক্ষে ভোট করানোর জন্য।
একইসঙ্গে সুস্মিতা দেব জানান যে বিজেপি জাতীয়তাবাদের কথা মুখে বললেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রকাশ্যে বলছেন রাজ্য পুলিশের এম্বলেম থেকে অশোক চক্র সরিয়ে “হাওয়াই চটি” রাখার কথা।
এই সব বিষয়ে কমিশনকে অবগত করেছেন তৃণমূল নেতারা, এবং তাঁরা আশা করছেন কমিশনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিভাবে অশোক স্তম্ভকে অপমান করার সাহস পান?নির্বাচন কমিশন তাকে শো কজ কেন করছে না?কেন প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে পদত্যাগ করতে বলছেন না?
আগামী ১৩ই নভেম্বর বাংলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে পারদ চড়ছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাটের বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করায় কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।