আজ ধনধান্য স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্যসচিব সহ স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের চিকিৎসকরা উপস্থিত রয়েছেন। বৈঠকের জন্য ধনধান্য মূল অডিটোরিয়ামের পাশাপাশি আরও দুটি হলে রয়েছে বসার ব্যবস্থা। তবে, আরজি কর কাণ্ডে যে সংগঠনের নেতৃত্বে বৈঠক চলছিল, সেই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরাম’-এর তরফে কেউ উপস্থিত থাকছেন না।

কোন হাসপাতালের কতজন উপস্থিত :

এস‌এসকেএম-এর ১০০ জন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৭০ জন, নীলরতন সরকার হাসপাতালের ২৫ জন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ২৫ জন, সিএন‌এমসি-র ২৫ জন, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ৭৫ জন, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের ২২০ জন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ১২০ জন, কল্যাণী জেএন‌এম হাসপাতালের ৩০০ জন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ১৫০ জনকে দেওয়া হয়েছে আমন্ত্রণপত্র।

তিলোত্তমাকে স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিলোত্তমার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, তিলোত্তমার শাস্তির দাবিতে তিনি নিজে রাস্তায় হেঁটেছিলেন। এমনকী ‘অপরাজিতা বিল’ও এনেছেন, যা এখনও পড়ে রয়েছে, সই করেনি রাজ্যপাল।

তার বক্তব্যের কিছু অংশ:

সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারটা ভাল করলেও বেরবে না। একটা খারাপ কাজ করলে এমন প্রচার হয়, যাতে মনে হয় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেউ কোনও কাজ করছেন না.

বাম আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অবহেলা করা হয়েছে। একজন রাজ্যমন্ত্রী ওই দফতর দেখতেন। আমি নিজের হাতে দফতরটা রেখেছি, কারণ একজন রাজ্যমন্ত্রীর পক্ষে এটা দেখা সম্ভব নয়.

জেলা হাসপাতালগুলোকে বলছি, হঠাৎ রেফার করবেন না। কলকাতায় সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।

আমরা রাজ্যে ৪৩৫৪টি এমবিবিএস সিট বাড়িয়েছি। তবে নিয়োগ হচ্ছে আরও.

কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ের নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে। কারণ ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে একটা মামলা করা হয়েছে

কিছু এক্স সার্ভিসম্যানকে নিয়ে নাও। তাঁদের দিয়ে অনেক জায়গায় কাজ করাতে পারি। পুলিশকে আরও বেশি সতর্ক করতে হবে। দরকার হলে মোবাইল ভ্যান বাড়িয়ে দাও।

সাইবার ক্রাইম ডেঞ্জারাস। পুলিশকে শুধু ঘুরলে হবে না। বুদ্ধিটা সবসময় কাজে লাগাতে হবে. ভিআইপি যাবে বলে অন্য গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়। কোনও ভিআইপি-র জন্য গাড়ি বন্ধ থাকবে না

দুর্ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। সঠিক পদক্ষেপ করার প্রয়োজন আছে। গলির কর্নারে ওয়াচ টাওয়ার লাগান। এমপি, এমএলএ-রা দরকার হলে তাদের ল্যাডের টাকা দেবে

বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা

ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনি- সবার বেতন ১০,০০০ টাকা করে বাড়ানো হবে, সর্বস্তরের সিনিয়র ডাক্তারদের বেতন বাড়ল ১৫,০০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হবে.

সরকারি হাসপাতালের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা যেত। সেই পরিধি বাড়িয়ে ৩০ কিলোমিটার করা হল।

স্যালাইন-কাণ্ডে যে সব জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাঁদের সাসপেনশন তুলে দেওয়া হল।