দেশ বিভাগে ফিরে যান

মেরুকরণের লক্ষ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কমিটি

ফেব্রুয়ারি 2, 2024 | < 1 min read

অন্তর্বর্তী বাজেটে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও জনবিন্যাসে পরিবর্তনের ফলে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে কমিটি এই সমস্যাগুলির সমাধানে নিজেদের সুপারিশ সরকারকে জমা দেবে। হিন্দুদের তুলনায় পরিবারপিছু অধিক সন্তান জন্ম দেওয়াই জনবিস্ফোরণের অন্যতম কারণ বলে মনে করে গেরুয়া শিবির। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি দশকে যে জনগণনা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার তার আগের দশকের তুলনায় নিম্নমুখী। পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণের রাজ্যগুলি জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হওয়ায় সে সব রাজ্যে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ১.৬-এর কাছাকাছি। কোন রাজ্য কেন্দ্রীয় করের কত টাকা পাবে, সেটা রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর নির্ভরশীল। পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণে ভাল কাজ করে থাকে, তা হলে নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় করের অংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার জনসংখ্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছে লোকসভার আসন সংখ্যাও। কোন রাজ্যে ক’টি লোকসভা আসন থাকবে তা নির্ভর করে সেই রাজ্যের জনসংখ্যার উপরে। পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণের রাজ্যগুলির আশঙ্কা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এক দিকে যেমন কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমার আশঙ্কা রয়েছে তেমনই জনসংখ্যা কমে গেলে রাজ্যে লোকসভার আসনও কমে যাবে।জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব হারাবে রাজ্য। বিরোধীদের মতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন আসলে ভোটের মুখে মূলত মুসলিমদের কোণঠাসা করার বার্তা দিয়ে হিন্দু মেরুকরণের লক্ষ্য।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় বন্ধ ঐতিহ্যশালী দুর্গাপুজো, উৎসবে ফিরতে নারাজ উদ্যোক্তারা
FacebookWhatsAppEmailShare
নিশিকান্তের স্থায়ী কমিটি থেকে মহুয়াকে সরাতে চিঠি তৃণমূলের
FacebookWhatsAppEmailShare
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনার প্রয়োজন নেই, সুপ্রিম কোর্টে বলল নরেন্দ্র মোদির সরকার
FacebookWhatsAppEmailShare