কোভিশিল্ড বিতর্কের পর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে উধাও মোদী
করোনার ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে গায়েব প্রধানমন্ত্রীর ছবি! একসময় করোনার ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে মোদীর ছবি থাকা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছিল। অনেকবার বিরোধীরা একযোগে আক্রমণ করেছে শাসক শিবিরকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু সরকার নিজেদের অবস্থান থেকে একটুও সরেনি, সিদ্ধান্তে অনড় ছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর ছবির নিচে একটি ছোট্ট বার্তাও ছিল “আমরা একসঙ্গে করোনাকে হারাব।”
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে। আর এই বিতর্কের পর নাকি রাতারাতি ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে মোদীর ছবি। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে গেলে দেখা যাচ্ছে সার্টিফিকেটে সবটাই রয়েছে। “আমরা একসঙ্গে করোনাকে হারাব”, এই বার্তাও লেখা রয়েছে। তবে মোদির ছবি উধাও।
সম্প্রতি কোভিশিল্ড (Covishield) প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা লন্ডনের আদালতে স্বীকার করেছে, যে তাদের ভ্যাকসিনে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এর কারণে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা টিটিএস নামের বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। এদেশে ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্ব ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের উপর, তাদের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষেই নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সড়ককে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো, কারণ তখন থেকেই শুরু হয়ে গেছিলো মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এতদিন পর যখন বিশ্বজুড়ে কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্ক শুরু হল তখন কেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিলো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্র অবশ্য অন্য কথা বলছে, “কোভিশিল্ড বিতর্কের জেরে নয়। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে মোদির ছবি সরানো হয়েছে কারণ দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে রয়েছে।”
