বাঁকুড়ায় মমতা আবেগ
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহল সফর। প্রথমে তিনি পুরুলিয়ায় সভা করেন, সোমবার তাঁর সভা ছিল বাঁকুড়ায়।
মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দুটো প্রায় সমার্থক। সোমবার বাঁকুড়ার রাইপুর সবুজ সঙ্ঘের মাঠে জনসভা ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভিড়ের ঠেলায় তিলধারণের জায়গা ছিল না। মহিলাদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মাঠ। আশপাশের বাড়ির ছাদও মানুষের ভিড়ে ঠাসা। শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনিতে মুখরিত সভাস্থল। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও তা উপেক্ষা করেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া ছাতা মাথায় দলে দলে সভামুখী হয়েছেন।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন তাদের রীতি ও সংস্কৃতি অনুযায়ী বরণ করে নেন নেত্রীকে। সভাশেষে তিনি ধামসা-মাদল বাদকদের সাথে ছন্দ মিলিয়ে তাল দেন। আদিবাসীদের দেওয়া শাড়ি পরেই মঞ্চে নাচের তালেও পা মেলালেন। এভাবেই আবেগের স্রোতে ভাসলো তৃণমূল নেত্রীর বাঁকুড়া সভা। নেত্রী যখন মঞ্চ থেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত টাকা পেয়েছেন?’ উত্তর এলো ‘হ্যাঁ’। তারপর নেত্রীর সবিনয় আবেদন, ‘আমাদের সরকার আছে এবং থাকবে আপনাদের পাশে। তাই ভোট দিন এবার জোড়াফুল প্রতীকে।’
একসময়ের অন্ধকারে ডুবে থাকা জঙ্গলমহল আজ উচ্ছ্বসিত। সভাশেষের পর মমতা যখন হেলিকপ্টারে উঠছেন, তখনও সকলে হাত তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে আবার তাদের জেলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।