মোদীকে দেশের প্রথম ওবিসি প্রধানমন্ত্রী বলে বিতর্কে বিজেপি
আলোচনা হচ্ছিলো সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে। তার মাঝে মাঝেই উঠে আসছিলো দেশের অনগ্রসর শ্রেণীদের কথা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সরকারকে আক্রমণ করেন ওবিসি সচিবদের সংখ্যা নিয়ে।
এর পাল্টা দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলে বসেন যে দেশকে প্রথম ওবিসি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রূপে বিজেপিই উপহার দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা ধরা পড়তে একেবারেই বেশি সময় লাগেনি, কারণ এইচডি দেবগৌড়া ভারতের প্রথম অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভায় সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধী মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের দাবি তুলেছিলেন। দেশে ওবিসিদের সংখ্যা জানার জন্য ইন্ডিয়া জোট জাতগণনার দাবি তুলেছে। কিন্তু জনগণনা করতে গেলে নানা রকম অশান্তি তৈরি হবে। দেশের জনসংখ্যায় ওবিসিদের হার ৪০ শতাংশ বলে জানা গেলে সরকারি চাকরি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭ শতাংশের বদলে আরও বেশি সংরক্ষণের দাবি উঠবে। যা নির্বাচনের মুখে চায় না বিজেপি সরকার। অথচ জাতগণনা সম্ভব নয় বলে যুক্তি দিতে গেলেও বিজেপির ওবিসি ভোট হারানোর ভয় রয়েছে।
এই শক্ত মুহূর্তে বিজেপি ঠিক করে যে তারা কংগ্রেসের আমলে ওবিসিদের জন্য কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ তুলবে। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর ওবিসি-পরিচিতিকে সামনে রেখে তার জমানায় ওবিসিদের জন্য কী কী কাজ হয়েছে, তা তুলে ধরবে দল।