ভাইফোঁটায় অগ্নিমূল্য বাজারদর! আমজনতার পকেটে ছেঁকা
এবছরও ভাইফোঁটায় বাংলার বাজার আগুন। বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া,ফলে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে পাত থেকে উধাও হচ্ছে আলু, পেঁয়াজের দামে চোখ জল আসছে। আদা রসুনেরও আগুন। বঙ্গে ধরা দেয়নি শীত। ফলে বাজারে এখনও দেখা মিলছে না শীতের সবজির। আবার জোগান কম থাকায় দামে জেরে হাত ছোঁয়ানোই যাচ্ছে না। রপ্তানি বাড়লে দাম কমবে সবজির,এমনই বলছেন বিক্রেতারা।মাছ-মাংস সবই অগ্নিমূল্য। বাজারে ইলিশ মাছ পাওয়া গেলেও তা ধরা ছোঁয়ার বাইরে মধ্যবিত্তের। মাত্রাতিরিক্ত মাছের দামে নাকাল ক্রেতারা।
বর্তমানে ১ কেজি বড় ইলিশ ১৫০০। ছোট ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি। চিতল প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০। গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। খাসির মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি মুরগি বিকোচ্ছে ৩৫০। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ভাইফোঁটার দিন মাছ মাংস কিনতে গেলে পকেটে টান পড়তে পারে আমজনতার। তবে দাম চড়লেও ভাটা পড়েনি কেনাকাটায়। জোরকদমে চলছে ভাইফোঁটার প্রস্তুতি। তুলনামূলকভাবে শশা, গাজর, ফুলকপির দাম কিছুটা কম। কেজি প্রতি শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, সেপ্টেম্বরে বন্যা। অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় দানা। সেই সঙ্গে উৎসব-পার্বণের চাহিদা। সব মিলিয়ে জোগান অনেকখানি কম। ফলে দাম তো বাড়বেই।