‘বিজেপির সদস্য হলে মহিলারা পাবেন অন্নপূর্ণা যোজনার ৩০০০ টাকা’, বেফাঁস মন্তব্য সুকান্তর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনে বাংলায় এসে দলকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছেন। হাতে সময় মাত্র এক মাস। সেই লক্ষ্য পূরণে মাঠে নেমে পড়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। সেই কর্মসূচিতে গিয়ে এ বার ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে কিংবা লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে একাধিকবার অন্নপূর্ণা যোজনার কথা শোনা যাচ্ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। এবার রাজ্যে ছ’টি কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। তার আগে ফের একই সুর শোনা গেল বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে ।
তবে সেই যোজনার সুবিধা পাওয়ার শর্ত বেঁধে দিলেন তিনি। নিতে হবে বিজেপির সদস্য পদ।পূর্ব বর্ধমানের কালনায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অন্নপূর্ণা যোজনা পেতে হলে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যপদ নিতে হবে। বাড়িতে গিয়ে বাড়ির লোকেদের বলতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যপদ নিতে হবে। আপনাদের কাছে আহ্বান, এই সদস্যপদ তাড়াতাড়ি নিন। এখানে নেতা নয়, কর্মীরাই সব।’’পাশাপাশি এদিন তিনি দলীয় কর্মীদের পরামর্শও দিলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেন অন্নপূর্ণা যোজনার জোরদার প্রচার করা হয়।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় কর্মী সম্মেলন করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকেই বার্তা দেন, রাজ্যে অন্নপূর্ণা যোজনা চালু হলে মহিলারা মাসিক ৩ হাজার টাকা করে পাবেন। তবে তার আগে তাঁদের বিজেপির সদস্যপদ নিতে হবে। বিজেপির সদস্য হলেই মিলবে এই যোজনার জন্য ৩ হাজার টাকা।
সুকান্তের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি শুনেছি বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বলেছেন। এঁরা মন্ত্রী? এঁরা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা আলোকিত করে থাকেন। ছিঃ ছিঃ ছিঃ।” তিনি আরও বলেন, “বাংলায় তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার দেন। কাউকে এটা তো বলা হয় না যে, তৃণমূলের সদস্যপদ নিলে তবেই লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন। বিজেপি যত এ সব করবে বাংলার মানুষ তত ওদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাংলার বাইরে পাঠাবে।”