‘ডিপফেক’ রুখতে সোশ্যাল মিডিয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র
সম্প্রতি অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে, যা নিয়ে তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই প্রতিবাদ জানান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি হওয়া এই ভিডিওতে অন্য একজনের শরীরে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়, যা খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই। সামাজিক মাধ্যমে ডিপফেকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠায় অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ডিপফেক ভিডিও এবং ছবির বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলির সঙ্গে সত্বর বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বড্ড দেরি হয়ে গেল না তো? চ্যাটজিপিটি, বার্ড, গ্রোক সহ একাধিক এআই ওয়েবসাইট এখন যেমন মানুষের বহুল উপকারে লাগছে, তেমনই এখন একজন নারীকে ডিপফেক নগ্ন ছবি বা ভিডিও তৈরি করা বা কারোর গলা নকল করে কাউকে ঠকানো খুব সামান্য কাজ।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল যে ভারতে পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট আর চলবেনা। তারপরেও তা পুরোপুরি ব্যান হয়নি। ইলন মাস্ক বলেছিলেন, এআই কতটা ক্ষতিকারক, তা আমাদের চিন্তার বাইরে। তাহলে কি আদেও ডিপফেক নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্র?