স্বাস্থ্য মিশনে বরাদ্দ বন্ধের শঙ্কা
প্রথমে ১০০ দিনের কাজের টাকা। তারপর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। ইতিমধ্যেই বাংলাকে এই দুই প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই তালিকায় এবার যুক্ত হতে পারে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। কেন্দ্রের নিয়ম মতে প্রকল্পের ‘ব্র্যান্ডিং’ করছেনা রাজ্য সরকার – এই অভিযোগে প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। স্বাস্থ্য মিশনের এক অধিকর্তার চিঠিতে তৈরি হয়েছে আশংকা। এর জন্য সমস্যার মুখে পড়বেন আশাকর্মীরা, কারণ তাঁদের ভাতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ব্র্যান্ডিং ঠিক করে করা করলে দেওয়া হবেনা টাকা – এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে প্রকল্পের ‘ব্র্যান্ডিং’ ঠিক মতো হলে এবং বিধিবদ্ধ নিয়ম মানা হলে পরবর্তী কিস্তির টাকা পাবে রাজ্য। প্রকারান্তরে টাকা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিই দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজ্যের আমলারা।
এই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে একটি আলোচনাও হয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। রাজ্য ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’-এর সঙ্গে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ কথাটি জুড়তে রাজি ছিল। কিন্তু ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কথাটি যুক্ত করা হয়নি। এছাড়া এই কেন্দ্রগুলির জন্য রং নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল তা ব্যবহার করা হয়নি। রাজ্যের নীল-সাদা রং করে করে ‘সুস্বাস্থ্য’ কেন্দ্রগুলিতে।
বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায় ওই মিশনে। তার মধ্যে কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ দিতে হয় রাজ্যকে। এই অর্থে মা-শিশু স্বাস্থ্য-সহ জনস্বাস্থ্য পরিষেবার প্রায় পুরো কাজ হয়ে থাকে। ওই তহবিল থেকে কমবেশি ৬০ হাজার আশাকর্মীর এক-এক জন ৭-৮ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পান। এই টাকা বন্ধ হয়ে গেলে বিপদের মুখে পড়বেন আশাকর্মীরা।