মণিপুরে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর দাবি তৃণমূলের
গত ৩ মে থেকে মণিপুরে শুরু হওয়া দাঙ্গা আয়ত্বে আনতে পারেনি হাজার হাজার সেনা বাহিনী। কুকি (Kuki) এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের টানা আক্রমণের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই শনিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন অমিত শাহ।
তৃণমূলের তরফে সেই বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
তৃণমূলের দাবি, “মণিপুরে ভীতি, আশঙ্কা আর নিরাশার আবহ। বহু মুল্যবান প্রাণ চলে গিয়েছে। আজ মণিপুরে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, ৪ হাজার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে, ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ৫০ দিন ইন্টারনেট নেই। সেখানে সাংবিধানিক সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মণিপুর জ্বলছে মানে অসম, মেঘালয় সব রাজ্যের উপরই প্রভাব পড়বে।”
তৃণমূলের আরও জানায় গত ২৯ মে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রায় ৩ সপ্তাহ বাদে কেন্দ্র শুধু সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছে। ১৫ জুন সাংসদীয় কমিটিতেও আলোচনার চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল সেই দাবিও মঞ্জুর হয়নি।
সাম্প্রদায়িক হিংসার ময়দানে পরিণত হয়েছে মনিপুর। ২৫০টা চার্চ ভেঙেছে। ১৭টা মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শান্তি ফেরানোর জন্য সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোই এখন শেষ রাস্তা মনে করছে তৃণমূল।