৯ জুন যন্তরমন্তরে বসতে না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কৃষক নেতাদের
আজ কুস্তিগীরদের সমর্থনে বৈঠক করেছেন খাপ পঞ্চায়েতের নেতারা। বৈঠকের পর তারা ঘোষণা করেছেন, “আগামী ৯ জুন যদি আমাদের যন্তরমন্তরে বসতে না দেওয়া হয় তবে সেখান থেকেই আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে,কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৯ জুন পর্যন্ত সময় রয়েছে। ব্রিজভূষণ শরণকে গ্রেফতার করতেই হবে, এই ব্যাপারেআমরা কোনরকম আপোস করব না। ‘
এবার কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের অনুরোধ করলেন তাঁদের পদক গঙ্গায় না ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রজার বিন্নীও একই অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ সংস্থা PTI কে দেওয়া বার্তায় বিশ্বকাপজয়ীরা বলেন, “আমাদের দেশের কুস্তিগিরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা দেখে আমরা মর্মাহত। বহু কষ্টে অর্জিত পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার যে ভাবনা কুস্তিগিরদের মধ্যে এসেছে সেটা দেখে আমরা চিন্তিত। বহু দিনের পরিশ্রমের পর পদক জিতেছে তারা। অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে এই পদক পেতে। আমরা অনুরোধ করব এমন কোনও বড় পদক্ষেপ যেন তারা না করে। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি বিচার পাবে কুস্তিগিরেরা। দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুক তারা।”
উল্লেখ্য, আজ কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে ২টি এফআইআর করলেন কুস্তিগীররা। দু’টি এফআইআরে মোট ১০টি নিগ্রহের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।কাকে কোথায়, কখন, নিগ্রহ করেছেন ব্রিজভূষণ সেই সব কিছুই উল্লেখ করা রয়েছে এফআইআরে।
২৮ এপ্রিল দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর করা হয় যে, ব্রিজভূষণ মেয়েদের নিগ্রহ করেছেন। বিনিময়ে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি মেয়েদের শরীর অস্বস্তিকর ভাবে ছুঁয়েছেন একথাও লেখা হয়েছে এফআইআরে।তবে, দিল্লি পুলিশের বক্তব্য ছিল, ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। তাই তাঁরা ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
আজ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৫৪এ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটি এফআইআরে বলা হয়েছে ছ’জন প্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগীরের কথা। দ্বিতীয়টিতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগীরের বাবা অভিযোগ করেছেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে।