মৎস্যজীবীদের বিকল্প জীবিকা
এবার মৎস্যজীবীদের বিকল্প জীবিকা, কৃত্রিমভাবে মধু চাষ
গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়ে প্রাণহানি ঘটেছে অনেক মৎস্যজীবীর। তাই বন্যপ্রাণ ও মানুষের সংঘাত এড়াতে এবার কৃত্রিমভাবে মধু চাষের উপকরণ দিয়ে মৎস্যজীবীদের বিকল্প জীবিকার সুযোগ করে দেওয়া হলো বাংলায়।
এই মধু এবার অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ও বিশ্ব বাংলা বিপণি কেন্দ্রে পাওয়া যাবে। কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত সুন্দরবনের মধু ভিনদেশেও বিপণনের ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
প্রতি কেজি মিলবে ৪২০ টাকায়। বিক্রি করে যা আয় হবে, তা পুরোটাই চলে যাবে মৎস্যজীবীদের অ্যাকাউন্টে। এই মুহূর্তে ৭২০ জন মৎস্যজীবী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সব মিলিয়ে গত কয়েক মাসে ৩ হাজার ২০০ কেজি মধু উৎপাদন হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় এই প্রক্রিয়া এবং মার্চ মাস থেকে শুরু হয় মধু সংগ্রহের কাজ। লকডাউন চলাকালীন ৩২ টন মধু সংগৃহীত হয়। আসন্ন ডিসেম্বর মাস থেকেই আবার দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে
ভবিষ্যতে আরও অনেক মৎস্যজীবীকে বিকল্প মধু চাষে যুক্ত করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।