বাংলা বিভাগে ফিরে যান

মাটির সৃষ্টি বদলে দিচ্ছে গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা

নভেম্বর 26, 2020 | < 1 min read

মাটির সৃষ্টি বদলে দিচ্ছে গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা

অনাবাদী জমি সুজলা সুফলা করে তোলার জন্য চালু হয়েছে ‘‌মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প‌। ৫০ হাজার একর পতিত জমিতে নতুন এই প্রকল্পের কাজ হবে, তাতে উপকৃত হবেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। লক্ষ্য গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত করা। 

মে মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছিল রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায়। তার মধ্যে, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায় ৬ মাসের মধ্যেই মানুষের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ধরা পড়েছে নানা তথ্যে। 

পুরুলিয়া: 

প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ছিল ২০১২ একর জমি। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সুফল পেয়েছে ২০০৪ একর। সেই জমিতে রোপণ করা হয়েছে আম, কলা, পেয়ারা ও অন্যান্য ফলের গাছ

১০০ দিনের কাজ পেয়েছেন ১২,০৪৫ জন। 

কর্মদিবস তৈরি হয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ। 

উপকৃত – ৩,৪১০ জন কৃষক ও ৪০৮ জন মৎস্যজীবী। 

পশ্চিম মেদিনীপুর:

‌প্রকল্পের আওতায় এসেছে ২,০০০ একর জমি। 

উপকৃত ৩,০০০ কৃষক। এই জেলায় জোর দেওয়া হয়েছে কাজুবাদাম চাষের ওপরে। এ ছাড়া ফলের মধ্যে আম, কলা, পেঁপে ও লেবুগাছ লাগানো হয়েছে। শাল, সেগুন গাছও রোপণ করা হয়েছে। 

ঝাড়গ্রাম:

প্রথম পর্যায়ে ১৫টি এলাকার ১১৮.৬ একর জমি বেছে নেওয়া হয়েছিল। 

সেখানে আম, লেবু, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি গাছ লাগানো হয়েছে। সেইসঙ্গে চলছে বিপুল পরিমাণে সবজি চাষ। 

সেলফ হেলফ গ্রুপগুলি লাভ করেছে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। 

পরবর্তী পর্যায়ে ৩,০০০ একর জমি ‘‌মাটির সৃষ্টি’‌ প্রকল্পে আনা হচ্ছে। 

বাঁকুড়া: 

প্রকল্পের অধীনে এসেছে ১,৪০০ একর জমি। 

আম, কাজু, পাতিলেবু, কমলালেবু, নানা ধরনের ফুল, পালংশাক, টম্যাটো, ইত্যাদি সবজির ২ লক্ষ চারা রোপণ করা হয়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে ২ লক্ষের বেশি কর্মদিবস। 

২১০০ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

রবিবারের মধ্যেই বঙ্গে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী, সব বুথে হবে ওয়েবকাস্টিং
FacebookWhatsAppEmailShare
আরও দেড় লক্ষ মানুষ বার্ধক্য ভাতার আওতায়, রাজ্যের খরচ ১২৬ কোটি
FacebookWhatsAppEmailShare
আর জি কর আন্দোলনের ‘প্রতিবাদী’ মুখ ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী সারদার টাকা নিয়েছিলেন?
FacebookWhatsAppEmailShare