আমেরিকায় পালাবদলে উদ্বেগ ইউনুসের, আবার কি জেগে উঠবে বাংলাদেশের আওয়ামী লিগ?
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন। ইতিমধ্যেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসও। তিনিও শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ট্রাম্পের মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তন ইউনূসের জন্য বেশ অস্বস্তিকর হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির-এর মতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বৈদেশিক নীতির কথা বিবেচনা করেন, সেই ব্যাপারে একটি অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের কারণে দুই দেশের সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে। কমলা হ্যারিস জয়ী হলে সামঞ্জস্য ও ধারাবাহিকতা বজায় থাকত। তবে ট্রাম্পের জয় বাংলাদেশকে ভাবিয়ে তুলছে।
যেখানে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে উন্নয়ন, সংস্কার, অন্যান্য সমর্থন করে এসেছে। সেখানে ট্রাম্প ও তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানে আগ্রহী হবে না।’সেপ্টেম্বরে ইউনূস আমেরিকা সফরে গিয়ে বারাক ওবামা, বিল ক্লিন্টন-সহ ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেও ট্রাম্প বা কোনও রিপাবলিকানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। কারণ, সম্পর্ক মধুর নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পর, বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ওয়াশিংটনে যায়। প্রথম সাক্ষাতেই ট্রাম্প বলেছিলেন, “ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।” ইঙ্গিত স্পষ্ট, ইউনূস ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিলেন।ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বদল হলেও বিদেশনীতির ক্ষেত্রে খুব একটা বড় কোনও বদল হয়নি অতীতে। কিন্তু ট্রাম্প বরাবর ব্যতিক্রমী। তাঁকে প্রথাগত মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে তাঁর জমানায় বিদেশনীতিতে ‘টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন’ থাকাটাই স্বাভাবিক চোখে দেখছেন অনেকেই।