দেশ বিভাগে ফিরে যান

স্বাধীনতা আন্দোলনে কেন নারীদের অবদানের কথা বলা হয় না?

আগস্ট 15, 2024 | 2 min read

স্বাধীনতা দিবসে স্মরণ করা হয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধশেষের পর এমন অনেক সংগ্রামী নায়িকাকে ইতিহাস মনেই রাখেনি। শুধু যে এই স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষরাই যোগদান করেছিলেন তা তো নয়, বহু নারীও শামিল ছিলেন। তেমন কিছু সংগ্রামীর কথা আজ জেনে নেওয়া যাক, যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, যাঁদের আমরা ধীরে ধীরে ভুলতে বসেছি।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার: চট্টগ্রামে জন্মানো এই মেয়েটি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। ১৯৩০ সালে তিনি আইএ পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম ও সবার মধ্যে পঞ্চম হন। ১৯৩২-এ মাস্টারদা সূর্যসেনের সঙ্গে সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৩২ এর ২৪ এ সেপ্টেম্বর পাহাড়তলীর ইউরোপিয়য়ান ক্লাব আক্রমণ করেছিলেন বোমা আর রিভলবার নিয়ে।,বেশ কয়েকজনকে মারতে পারলেও চারিদিক থেকে পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল তাঁদের, মুহূর্তের সিদ্ধান্তে পুরুষসঙ্গীদের বার করে দিয়ে সাইনাইড খেয়ে মাত্র একুশবছর বয়সে শহিদ হয়েছিলেন প্রীতিলতা।নিজের প্রাণ দিয়ে আরও মেয়েদের সামনে দেশের জন্য আত্মবলিদানের পথ খুলে দিয়ে গেলেন এই বীরাঙ্গনা।

মাতঙ্গিনী হাজরা: গরিব চাষির মেয়ে। ১৯৪২ এর ২৯ এ সেপ্টেম্বের মেদিনীপুরের তমলুকে প্রায় আটহাজার বিপ্লবীর শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন তি্যাত্তর বছরের বৃ্দ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা।পুলিশের বিশাল বাহিনী তাদের বাধা দিয়েছিল এবং পুলিশ এই শোভাযাত্রায় গুলি চালিয়েছিল।পুলিশের গুলি মাতঙ্গিনীর লাগলেও জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা উঁচু করে ধরে ছিলেন।

কনকলতা বড়ুয়া: গহপুর অঞ্চলের বরঙাবাড়ী গাঁয়ে জন্ম। পিতা বগারাম বড়ুয়া ছিলেন একজন কৃষক। শৈশবে কনকলতার পিতৃবিয়োগ হয়েছিল।আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নাবালিকা হওয়ায় যোগ দিতে পারেননি। ১৯৪২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর, গোহপুর এলাকার বিপ্লবী শিবির স্থানীয় থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়।কনকলতা বড়ুয়ার নেতৃত্বে মৃত্যুবাহিনীর সদস্যরা তেরঙা পতাকা উত্তোলনের জন্য গোহপুর থানার দিকে অগ্রসর হন। দলের নেতা হিসেবে কনকলতা বড়ুয়া জাতীয় পতাকা হাতে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।সেই মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। কনকলতা বড়ুয়া সেই গুলির আঘাতে মারা যান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছিলেন তিনি।

মণিপুরের মহিলা বিদ্রোহ: ১৯০৪ সালে ইংরেজদের বসিয়ে দেওয়া রাজা চূড়াচাঁদ সিং ও ব্রিটিশদের চাপিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক শ্রম আইনের বিরুদ্ধে ‘নুপি লান’ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন মণিপুরের মহিলারা। এই আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্যায় সংঘঠিত হয় ১৯৩৯-৪০’-এ। ইংরেজরা রাজ্যের চাল বাইরে পাঠাত। এদিকে মণিপুরের বাসিন্দারা খেতে পেত না। এই নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন নিরস্ত্র মহিলারা। তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র ব্রিটিশ বাহিনী। মারা যান বহু নারী। এর পরেও আন্দোলন কিন্তু থামেনি। চলেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

মণিপুরে বিতর্কিত আফস্পার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
FacebookWhatsAppEmailShare
‘সব জরুরি কাজই করবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা’, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
FacebookWhatsAppEmailShare
‘রাজনীতি থেকে দেবতাদের দূরে রাখুন,’তিরুপতির লাড্ডু নিয়ে নাইডুকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের
FacebookWhatsAppEmailShare