শিব না সিদ্দা, কে হবেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী?
সুনীল কানুগোলুর জন্য নির্বাচনের সময়ে সর্বসমক্ষে আসেনি কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ। আড্ডা দেওয়ার ভিডিও তৈরি করে দেখানো হয়েছিল দুই নেতার ঐক্যতা, যাতে কর্মী-সমর্থকরা বিভাজিত না হয়ে যান। কিন্তু এবার ইলেকশন মিতে গেসিগে, প্রশ্ন উঠে গেছে – কে হবেন কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার নাকি প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াহ?
বরাবর গৌড়া পরিবার বিরোধী শিবকুমারের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয় কর্ণাটক রাজনীতির মহীরুহ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়াকে নির্বাচনে পরাজিত করে। অন্যদিকে সিদ্দারামাইয়াহ প্রথমে ছিলেন দেবগৌড়া-কুমারস্বামীর জনতা দল (সেক্যুলার)-এ, সেখান থেকেই হন বিধায়ক। ২০০৬ সালে সিদ্দা কংগ্রেসে যোগ দেন, এবং পরে মুখ্যমন্ত্রী হন।
এখন উভয়সঙ্কটে কংগ্রেস হাইকমান্ড – নির্বাচনের সময়ে যে শীর্ষ নেতৃত্বকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চুপ করে থাকার নিদান দিয়েছিলেন শিব-সিদ্দা, এখন তাদের হাতেই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব। সিদ্দারামাইয়াহ ইতিমধ্যেই উড়ে গিয়েছেন দিল্লি, দরবার করেছেন সোনিয়া গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের কাছে, দাবি করেছেন যে বেশিরভাগ বিধায়ক তাঁকে সমর্থন করছেন ও তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। অন্যদিকে দিল্লি ট্রিপ ক্যানসেল করে দিয়েছেন শিবকুমার – মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। তিনি মিডিয়ার কাছে বলেছেন, “আমার সভাপতিত্বে ১৩৫ জন বিধায়ক গিয়েছেন বিধানসভায় কংগ্রেস থেকে। যেভাবে প্রচার করেছি, স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেছি, আমাদের ঐক্য, দেশের কাছে মডেল। আমি অনেক কিছু করতে পারতাম আরও সময় পেলে। সংখ্যাটা আরও বাড়ত।”
রবিবার বিকেলে কর্ণাটক কংগ্রেসের বিধায়কদের পরিষদীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে। আজ আবার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরে আজকের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে ফাইনাল কল নিতে পারেন সোনিয়া গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গে। কংগ্রেস সূত্রে অবশ্য জানা যাচ্ছে, কম্প্রোমাইজ মডেল গ্রহণ করতে অরে এআইসিসি, আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর আসন দেওয়া হতে পারে সিদ্দারামাইয়াহ ও শিবকুমারকে।