বাংলা বিভাগে ফিরে যান

‘অপরাজিতা,নারী ও শিশু নির্যাতন রুখতে কী কী থাকছে এই বিলে?

সেপ্টেম্বর 3, 2024 | 2 min read

আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন মহিলা চিকিৎসক। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশে, বিদেশে। এই আবহে এবার নারী নির্যাতন রুখতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আজ রাজ্য বিধানসভায় পেশ হলো ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল, ২০২৪’।ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারায় ধর্ষণের সাজা অন্তত ১০ বছর কারাদণ্ড, যা যাবজ্জীবনও হতে পারে। সঙ্গে জরিমানার বিধান রয়েছে।

একনজরে দেখে নিন কি কি প্রস্তাব রয়েছে বিলে:

১। রাজ্যের সংশোধনী বিলে ধর্ষণের সাজা আমৃত্যু কারাদণ্ড। সঙ্গে জরিমানা। এমনকি, মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

২। জরিমানার টাকায় নির্যাতিতার চিকিৎসা, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেই জরিমানার টাকা দিতে হবে, যা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩-এর ৪৬১ ধারায় উল্লেখ করা রয়েছে।

৩। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৫ ধারা মুছে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ‘অপরাজিতা মহিলা এবং শিশু (পশ্চিমবঙ্গ অপরাধ আইন সংশোধনী) বিল ২০২৪’-এ।

৪। ‘বিশেষ আদালত’ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। প্রতি জেলায় তৈরি করতে হবে এই আদালত, যেখানে ধর্ষণের মামলার বিচার হবে।

৫। বিচার করবেন রাজ্যের দায়রা বিচারক বা অতিরিক্ত দায়রা বিচারক। কলকাতা হাই কোর্টের সম্মতি নিয়েই চলবে বিচার। সরকার নির্যাতিতার হয়ে মামলা লড়ার বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ করবে। যার কমপক্ষে সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৬। জেলা স্তরে ‘বিশেষ টাস্ক ফোর্স’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। সরকারের গঠন করা সেই বাহিনীর নাম হবে ‘অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স’। মাথায় থাকবেন ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিক।

৭। ধর্ষণের মামলার যতটা সম্ভব তদন্ত করবেন মহিলা অফিসারেরা। তদন্তে কোনও সরকারি আধিকারিক বা কারও সাহায্য চাওয়া হলে, তাঁকে দ্রুত তা করতে হবে। তদন্তে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করাতে চাইলে তাঁরও ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার পর্যন্ত সাজা হবে।

৮। এফআইআর দায়েরের ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। তবে তার বেশি নয়। এসপি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে তদন্তের জন্য। বিলে আরও প্রস্তাব, চার্জশিট জমা দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বিচার।

‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু বিল, ২০২৪’ বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর সেটা আইনে পরিণত করার জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হবে। এই বিল রাজ্য আনলেও বর্তমান আবহে চাপে পড়বে কেন্দ্রও। ভাবা হতে পারে আইন সংস্কারের বিষয়ে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

নেপথ্যে অভিষেক, মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার সন্তানের দায়িত্বে বৃহন্নলা
FacebookWhatsAppEmailShare
৫০ লক্ষ টাকা উড়েছে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনে!
FacebookWhatsAppEmailShare
মহালয়া থেকে দশমী, বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা
FacebookWhatsAppEmailShare