বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণই
আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম রাজ্যে কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। স্বাভাবিকভাবেই আর পাঁচটা নির্বাচনের চেয়ে এবারের ভোট বঙ্গ রাজনীতিতে আলাদা একটি চর্চার বিষয়। গত কয়েক মাসে আরজি কর ইস্যুতে বিরোধী দলগুলি ছাড়াও নানা সংগঠনের উপর্যুপরি বিক্ষোভে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে শাসকদল তৃণমূল। তাই এটা জোড়াফুলের কাছেও ‘জবাব’ দেওয়ার ভোট। উল্টোদিকে, আরজি কর কাণ্ডকে ইস্যু করে একের পর এক দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে এই উপনির্বাচনেই শাসকদলকে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টায় ফাঁক রাখছে না বাম, বিজেপি থেকে কংগ্রেস।বুধবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের যে হিসাব নির্বাচন কমিশন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.২০। হাড়োয়ায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭৩.৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই এলাকায় লোকসভা ভোটেও বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। মাদারিহাটে এদিন ভোট পড়েছে ৬৪.১৪ শতাংশ। কোচবিহারের সিতাইয়ে উপ নির্বাচনে অবশ্য সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক আদৌ কোনও ছাপ ফেলতে পারলেন কিনা সন্দেহ রইল। সেখানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬৬.৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে নৈহাটিতে। সেখানে মাত্র নৈহাটি ৬২.১০ শতাংশ ভোট পড়েছে এদিন।শাসক তৃণমূলের দাবি, ৬ আসনেই তাদের জয় নিশ্চিত।
দলের নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘‘গো-হারা হারবে জেনে নাটক করছে বিরোধীরা! মরিয়া হয়ে ভুয়ো ভোট দিতে গিয়ে ওরাই ধরা পড়েছে। যাঁরা সমায়িক ভাবে বিভ্রান্ত হয়ে মাদারিহাটে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাও এখন বীতশ্রদ্ধ।’’ তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কমিশনে দু’টি চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, মাদারিহাটে বিজেপি এবং হাড়োয়ায় আইএসএফ ‘গুন্ডামি’ করেছে।