শিক্ষিতকে ভোট দিতে বলে বহিষ্কৃত শিক্ষক
“দেখ ভালো জনে রইল ভাঙা ঘরে
মন্দ যে সে সিংহাসনে চড়ে”
‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার দুটো লাইন, যা ভারতবর্ষের সিস্টেমের ছবি ফুটিয়ে তোলে। আর এই সিস্টেম চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু মগজ ধোলাই যন্ত্র। গণতান্ত্রিক দেশে যতজন শিক্ষিত মানুষ রাজনীতিতে এগিয়ে আসবে তা দেশের জন্য মঙ্গল। সেখানে ‘শিক্ষিত মানুষকে’ ভোট দেওয়ার কথা বলে চাকরি খোয়ালেন আনঅ্যাকাডেমির এক শিক্ষক।
অনলাইনে টিউটোরিয়াল ক্লাস দেওয়ার জন্য পরিচিত সংস্থা আনঅ্যাকাডেমির শিক্ষক করণ সাঙ্গোয়ানকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কেন্দ্রীয় শাসক দলকে তুষ্ট রাখতেই কি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনঅ্যাকাডেমি? সেই নিয়ে জল্পনা চলছে। এই বহিষ্কারের বিরোধিতা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষজন।
অবশ্য আনঅ্যাকাডেমির বক্তব্য, তাদের সংস্থা কোনওভাবেই পড়ুয়াদের সঙ্গে ব্যক্তিগত মতামত বিনিময়কে অনুমোদন করে না, সেই কারণেই সরানো হয়েছে করণকে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে এহেন পদক্ষেপের জন্য প্রবল নিন্দা করা হয়েছে আনঅ্যাকাডেমিকে। X প্ল্যাটফর্মে ট্রেন্ডিং হয়েছে হ্যাশট্যাগ আনইনস্টল আনঅ্যাকাডেমি। কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনঅ্যাকাডেমির অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা গৌরব মুঞ্জলের একটি সেলফি পোস্ট করে লিখেছেন, “যাঁরা চাপের মধ্যে থাকেন তাঁরা কখনও সুনাগরিক গড়ে তোলার কাজ করতে পারেন না।”
মাত্র দিন কয়েক আগেই দিল্লির লাগোয়া হরিয়ানার সোনেপতের অর্থনীতির বাঙালি অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের গবেষণাপত্র চাপে ফেলে বিজেপি নেতৃত্বকে। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেই গবেষণাপত্রে বিজেপির জয়ের পিছনে কারচুপির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। এরপর পরোক্ষ চাপের মুখে তাঁকেও ইস্তফা দিতে হয়েছিল।