ভূপতিনগরকাণ্ডে শীর্ষ আদালতে যাচ্ছে তৃণমূল
বছর দুয়েক আগে ঘটা পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ড নয় আবার সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গতকাল বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নারুয়াবিলা গ্রামে তল্লাশি করতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তদন্তকারী অফিসাররা। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে ওঠানোর পরই ওই সংস্থার গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ।
শনিবার রাতে ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
বারবার ভোটের আগে এজেন্সির এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাদের দাবি বিজেপি নেতাদের কথামতোই কাজ করছে এনআইএ। সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল জানিয়েছে, এই ঘটনায় এনআইএ এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে— এই মর্মে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এনআইএর এসপি ধনরাম সিংহের বাড়িতে বৈঠক হয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির আর বৈঠকের পরেই দলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি শাসক দলের।
সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের দাবি: ২০২২ সালের পুরনো মামলার তদন্তে বিজেপির কাছ থেকে ‘টাকা নিয়ে’ দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের বাড়ির ঠিকানা লেখা একটি কাগজ ও দেখিয়েছেন তারা। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাখানেক ছিলেন বিজেপির জিতেন্দ্র। তিনি এনআইএর এসপি ধনরামকে তৃণমূল নেতাদের একটি তালিকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, ভোটের আগে কোন কোন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, একটি সাদা খামও তিনি এনআইএর ওই অফিসারকে দেন , তাতে টাকা আছে কি না, পুলিশ সেটা তদন্ত করে বের করুক বলে দাবি করেসে শাসক দল।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি অবশ্য এই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছেন, ওইসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।