স্তব্ধ হাওড়া সেতু: দুর্ভোগ আমজনতার
সাতসকালেই যানজটের ভোগান্তিতে নাকাল কলকাতাবাসী। আদিবাসী সংগঠনের মিছিলের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হাওড়া সেতু।
সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই হাওড়া সেতুতে রাস্তার উপর পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্স’এর প্রতিনিধিদের। তাদের দাবি, কুড়মি-মাহাতোরা জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন, এর পিছনে রাজনৈতিক মদতও আছে। এছাড়া আদিবাসীদের বিরুদ্ধে দমন, পীড়ন এবং উচ্ছেদ বন্ধের দাবি রয়েছে।
ধর্মতলার উদ্দেশে যাবে এই মিছিল। হাওড়া সেতু থেকে ব্রেবোর্ন রোড ধরে এগোবে মিছিল। তার পর রানি রাসমণি রোডে একটি সভা হবে।আদিবাসী সংগঠনের দাবি, তাদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া চলবে না এবং নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালুর দাবি রয়েছে।
রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি যাত্রিবাহী বাস। তবে বেশ কিছু বিকল্প রুটে গাড়ি ঘোরানোর ব্যবস্থা করছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় ট্র্যাফিক মোতায়েন করা থাকলেও তারা খুব একটা সক্রিয় নয় বলেই জানাচ্ছেন যাত্রীদের একাংশ। স্ট্র্যান্ড রোডমুখী রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প উপায়েও গন্তব্যে পৌঁছোতে পারছেন না অফিসযাত্রীরা। প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বড়বাজার-সহ কলকাতার একাধিক অঞ্চলের রাস্তা। আজ সারাদিনই এই ভোগান্তি চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ এড়িয়ে চলুন এই রাস্তাগুলো:
গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জওহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, মেয়ো রোড, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, সি আর অ্যাভিনিউ,এস এন ব্যানার্জি রোড, মহাত্মা গান্ধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা ক্রসিং থেকে হাওড়া সেতু।