ডাক্তারদের সুরক্ষায় আলাদা করে কেন্দ্রীয় আইনের দরকার নেই, মত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের
নভেম্বর 18, 2024 2 min read
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক কোনও কেন্দ্রীয় আইনের প্রয়োজনীয়তা নেই। এমনটাই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টের তৈরি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের।কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর দেশ জুড়ে ডাক্তাররা নিরাপত্তার দাবিতে পথে নেমেছিলেন। মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই ইস্যুতেই একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয় দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সেই টাস্ক ফোর্সই রবিবার জানাল, চিকিৎসকদের উপর হামলায় ঘটনায় আলাদা করে কোনও আইনের প্রয়োজন নেই।বদলে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং রাজ্য সরকারের আইনগুলিই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
৩৭ পাতার রিপোর্টে দেশজুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখে পড়তে হয়, তা সমাধানে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বল্প মেয়াদী, মাঝারি মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানের আকার ও ক্ষমতা অনুযায়ী এগুলি কার্যকর করা যায়।হাসপাতালে নিরাপত্তার জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কমিটি গড়ার সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। এই কমিটিতে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা থাকবেন, যারা নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করবে এবং সমস্য়াগুলি চিহ্নিত করবে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রধানের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ জমা দেওয়া হবে। তিনি একজন সিনিয়র আধিকারিককে নিয়োগ করবেন এই কমিটি ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা তত্ত্বাবধানের জন্য।যে হাসপাতালগুলিতে ৫০০-রও বেশি বেড রয়েছে, সেখানে সেন্ট্রালাইজড সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুম তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে, যা সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত নিরাপত্তারক্ষী রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। থাকবে কুইক রেসপন্স টিমও।
হাসপাতালের প্রবেশ পথে, ইমার্জেন্সি রুম ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে সিসিটিভির নজরদারির গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে। যে হাসপাতালগুলিতে নেটওয়ার্কের সমস্যা, তা দ্রুত সমাধানের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে।যে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, সেখানে নিয়মিত পুলিশ পেট্রোলিং এবং অন সাইট আউটপোস্ট তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে।স্বাস্থ্যকর্মীদের গায়ে হাত তুললে, বা হাসপাতালে ভাঙচুর করলে, তার কী শাস্তি হতে পারে, এই নিয়ে জনগণের মধ্যেও সতর্কতা প্রচার চালানো উচিত বলেই রিপোর্টে বলা হয়েছে।যৌন হেনস্থা নিয়ে সচেতন করতে শি বক্স লাগানো, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সুরক্ষিত ডিউটি রুম এবং রাতের শিফ্টে যাতায়াতের ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
NewszNow
বাংলা থেকে নিরপেক্ষ সংবাদ | Unbiased news from Bengal
ট্যাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পড়ুয়া নিজেই পোর্টালে আপলোড করবে, ঘোষণা ব্রাত্য’র - NewszNow
ট্যাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পড়ুয়া নিজেই পোর্টালে আপলোড করবে, ঘোষণা ব্রা...দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফিরছে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা - NewszNow
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফিরছে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা NewszNow পার্বণ -কর্নাটকে বিজেপির ৫০ কোটি করে টোপ কংগ্রেস বিধায়কদের, অভিযোগ সিদ্দারামাইয়ার - NewszNow
কর্নাটকে বিজেপির ৫০ কোটি করে টোপ কংগ্রেস বিধায়কদের, অভিযোগ সিদ্দারামাইয়ার ...