হাওড়ার এই গ্রামে দুর্গাপুজোর থেকেও বেশি ধুমধাম লক্ষ্মীপুজোয়
হাওড়া জেলার শেষ সীমান্তে আমতা দু’নম্বর ব্লক ও জয়পুর থানা। এই এলাকার মধ্যেই খালনা গ্রামের অবস্থান। এই গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি দুর্গা ও কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লক্ষ্মীপুজো বিখ্যাত। খালনা গ্রামটি আমতা বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। আমতার বিধায়াক সুকান্ত পাল বলেছেন, “খালনা গ্রামের লক্ষ্মীপূজো আমাদের গর্ব। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক দিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্প ছাড়া ও মেডিকেল টিমও থাকছে।”
খালনায় যে কয়েকটি বারোয়ারি পুজো দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হল খালনা ক্ষুদিরায়তলা কোহিনুর ক্লাব। এই পুজো এবার ১৫৮ বছরে পদার্পণ করবে। এবার এই পুজো কমিটি সমুদ্রের তলদেশের আদলে তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে। যেখানে থাকছে হাঙর, ডলফিন, তিমি, কুমির, অক্টোপাস থেকে নানা সামুদ্রিক প্রাণীর মডেল। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দীপক পাল ও জয়ন্ত দাস বলেন, সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র্যকে বোঝাতেই এই থিম করা হয়েছে। খালনা কৃষ্ণরায়তলার পুজো এবার ১২৪ বছরে পা দেবে। তাদের থিম ‘দাও ফিরে সে অরণ্য’। যেখানে সৃষ্টি এবং ধ্বংসকে বোঝানো হয়েছে। খালনা আনন্দময়ী তরুণ সঙ্ঘ এবার রাধাকৃষ্ণ কুটির তৈরি করছে। বুদ্ধ মূর্তির আদলে তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মী প্রতিমা। পল্লি সঙ্ঘ এবার কেদারনাথ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে।