উপনির্বাচনের প্রার্থী না–পসন্দ, ক্ষোভে–রাগে বিজেপির কার্যালয়ে তালা ঝোলালো কর্মীরাই
উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হতেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাধিক বিজেপি পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হল। দলীয় কর্মীদের একাংশই এই কাজ করেছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে অসন্তোষ হাড়োয়ার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। এই কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির প্রার্থী করেছে বিমল দাসকে। তিনি হাড়োয়া মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি।
এরপরই হাড়োয়া, গোপালপুর এবং দেগঙ্গার একাধিক বিজেপি কার্যালয় তালাবন্ধ অবস্থায় লক্ষ্য করা গেছে। জানা যায়, দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়াই ওই কার্যালয়গুলিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন দলেরই একাংশ। একাধিক সংবাদমাধ্যমেও তালাবন্ধ কার্যালয়ের ভিডিও দেখানো হয়েছে।
বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সদস্য অঞ্জলি মজুমদার এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, দল যাঁকে প্রার্থী করেছে তাঁর কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তিনি নিজের বুথেই জয়লাভ করতে পারেন না। তাহলে উপনির্বাচন জিতবেন কীভাবে? যাঁরা দীর্ঘদিনের কর্মী এবং প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে দল তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে প্রার্থী করতে পারত। কিন্তু তা করল না। স্বাভাবিকভাবেই কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।পাল্টা বিক্ষুব্ধদের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস।
তিনি বলেন, যাঁরা বিরোধিতা করছেন তাঁরা আসলে তৃণমূলের সাথে হাত মিলিয়ে চলে। আমাকে হারানোর ষড়যন্ত্র করছেন তাঁরা। আর বিজেপির পার্টি অফিসে তালা পড়ার খবর ভুয়ো। যাঁরা দলে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।এই কেন্দ্রে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে পারেনি। আর বিজেপির অন্দরে চলছে মতানৈক্য। যে কারণে গোটা ব্যাপারটায় যারপরনাই খুশি তৃণমূল কংগ্রেস।