উপাচার্য বেছে নেওয়ার প্রাথমিক অধিকার মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই থাকছে
রাজ্যের আপত্তিই মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গের কোনও রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বেছে নেওয়ার প্রাথমিক অধিকার আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই থাকছে। সোমবার জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। তবে এ ব্যাপারে রাজ্যপাল তথা আচার্যর যে আপত্তি রয়েছে, সেই আবেদনও সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনায় থাকছে। উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে ‘সার্চ এবং সিলেকশন কমিটি’র দেওয়া নামের তালিকা নিয়ে যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং আচার্যের কোনও বিবাদ বাঁধে, তখনই ওই আবেদন বিচার করা হবে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে।
ঠিক করে দেবে উপাচার্যর নাম। এদিন স্পষ্ট করে দিল বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ। পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পর শীর্ষ আদালত প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে ‘সার্চ-অ্যান্ড-সিলেকশন’ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। নির্দেশ ছিল, এই কমিটিই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য নিয়োগের জন্য পছন্দ মতো তিনটি নামের তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। সেই তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্যপালকে পাঠাবেন।
যাঁকে তাঁর পছন্দ সেই নাম সবার আগে থাকবে। কারও নাম অপছন্দ হলে সেটাও কারণ সহ জানাবেন তিনি। রাজ্যপালের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাম বাছলে আচার্যর পছন্দ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে ‘সার্চ-অ্যান্ড-সিলেকশন’ কমিটিই প্রাথমিক যোগ্যতার তালিকা তৈরি করে দিক। কিন্তু রাজ্যপালের এই আপত্তি নিয়ে রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নামের একটি প্যানেল প্রকাশ হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এখন কোনও বাধা এলে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। আগামী ৯ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।