সুন্দরবনের দে বাড়ির পুজোতে বিসর্জনের পরে সাদা থান পরে হাঁটেন দেবী
সুন্দরবনের ভেবিয়া গ্রামের মানুষ একটু অন্যভাবে দেখে থাকেন দেবীকে। এখানে তিনি নাকি অবতীর্ণ হন এক অলৌকিক রূপে। বসিরহাটের সুন্দরবনের হাসনাবাদ ব্লকের ভেবিয়া গ্রামের দে বাড়ির পুজো। এবার ১১৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল। কথিত আছে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে ভেবিয়ার তৎকালীন জমিদার দীননাথ দে স্বপ্নাদেশ পেয়ে মায়ের পুজো শুরু করেন। তারপর থেকে একে একে বহু বছর কেটে গিয়েছে। পেরিয়েছে শতাব্দী। পুজোর বয়স অনেক। অথচ এখনো অমলিন সেখানকার ঐতিহ্য।প্রথা অনুযায়ী মহালয়ার পরদিন প্রতিপদ থেকে দে বাড়ির চণ্ডী ঘরে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুজো শুরু হয়ে যায়।
দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী ও পঞ্চমী একইভাবে পুজো হওয়ার পর ষষ্ঠীতে বাড়ির বেল গাছের নিচে বোধনতলায় মায়ের বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মৃন্ময়ীর আরাধনা। অষ্টমীতে চলে মিষ্টি ভোগ বিতরণ। পুজোর সময় দে বাড়ির যে সমস্ত সদস্য যারা দেশ-বিদেশে থাকেন তারা বাড়িতে ফেরেন। এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন।জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ আসেন বিসর্জনের দিন। তারা প্রতিমাকে কাঁধে করে ট্রলিতে তোলেন। এরপর বিসর্জনের উদ্দেশ্যে ঘাটের দিকে রওনা হন। ট্রলিতে করে অভিনব সেই যাত্রা দেখতে আশপাশের গ্রামের প্রচুর মানুষ ভিড় জমান দে বাড়িতে। বিসর্জনের পর রাত হলে গ্রামের মানুষ দেবীকে শুভ্র বসনে পুকুরের উপর দিয়ে চলাফেরা করতে দেখেন বলে কথিত রয়েছে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস,