কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ভবানীপুরে ব্রিটিশরূপী অসুরকে দমন করেন দুর্গা

সেপ্টেম্বর 26, 2024 | < 1 min read

দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর দে বাড়ি দুর্গা প্রতিমা এবং অসুর বাকি বনেদি বাড়ির থেকে খানিকটা আলাদা। ১৫৫ বছরে পা দেবে ভবানীপুরের এই দে বাড়ির পুজো।এখানে ব্রিটিশ রূপে পুজো করা হয় অসুরকে। অসুরের পরনে থাকে কোট প্যান্ট, টাই এবং পায়ে বুট।১৫৫ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে দে বাড়ির পুজো শুরু হয় রামলাল দে’র হাত ধরে। রামলাল দে জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে, গোবরডাঙ্গায়। পরবর্তীকালে ব্যবসায়িক সূত্রে তিনি দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

পারিবারিক তুলোর ব্যবসার তখন রমরমা অবস্থা। সেই ব্যবসা বংশপরম্পরায় আজও রয়েছে। এই মুহূর্তে পুজোর দায়িত্ব পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্মের কাঁধে। পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্ম দেবরাজ দে। বাড়ির পুজোর ইতিহাস নিয়ে গল্প করার সময় বলছিলেন, ‘পুজোর শুরু হয়েছিল দেবীর মাতৃরূপী আগমনের মাধ্যমে।একদিন সন্ধ্যায় এক লালপাড় সাদা শাড়ি পরিহিত মহিলা তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে প্রবেশ করেন এই ২৬নং চন্দ্রনাথ স্ট্রিট-এর বাড়িতে। তিনি গৃহকর্তার কাছে কিছু চাল ভিক্ষা চান। গৃহকর্তা যখন ভাঁড়ার ঘর থেকে চাল আনতে যান, তিনি তার সন্তানদের নিয়ে কাউকে কিছু না-বলেই গৃহের দালান থেকে ভিতর মহলে চলে আসেন।

বাড়ির এক সদস্যা তৎক্ষণাৎ তাঁর পিছু নেওয়া সত্ত্বেও পরবর্তী মুহূর্তে ওই মহিলা ও তাঁর সন্তানদের বাড়ির কোথাও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেশ কিছু দিন পরে সেই একই বেশে সেই মহিলাকে আবারও দেখা যায় বাড়ির ছাদের কার্নিশে বসে পা দোলাতে। ইতিমধ্যে শ্রী রামলাল দে-ও সেই একই বেশ ধারণকারী মহিলার স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নে তাঁকে ওই মহিলা বলেন, দেবী দুর্গার পূজা করতে। সেই বছর অর্থাৎ ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দেবী দুর্গাকে মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন শ্রী রামলাল দে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

অভয়ার বিচার চাওয়া প্রতিবাদীর অ্যাকাউন্টে ১.৭ কোটি, ঠিকানা আর জি কর হস্টেল
FacebookWhatsAppEmailShare
দুর্গাপুজোয় বই বিক্রিতেও আবারো শূন্য সিপিএম
FacebookWhatsAppEmailShare
শিয়ালদহ ESI হাসপাতালে আগুন
FacebookWhatsAppEmailShare