বাংলা বিভাগে ফিরে যান

সরাসরি সম্প্রচারের অজুহাতে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগদান করলেন না

সেপ্টেম্বর 12, 2024 | 2 min read

গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁরা। পালন করছেন কর্মবিরতি। আজ আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডেকেছিল রাজ্য সরকার। দু’ঘণ্টা ধরে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা আসেননি। তারপর নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

দু’ঘণ্টা ধরে নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করেছি, জুনিয়র চিকিৎসকেরা আসেননি।

মামলাটি বিচারাধীন। এই নিয়ে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হতে পারে না।

‘ওরা ছোট, আমাদের কাজ আবেগকে মর্যাদা দিয়ে ক্ষমা করে দেওয়া। আমরা ভেবেছিলাম, ওরা রাজি হবে। ৪টে ৪৫ মিনিটের মধ্যে আসতে বলেছিলাম। অনেক দেরি করে এসেছেন।

নির্যাতিতার জন্য শোকপ্রস্তাব নেব বলে ঠিক করেছিলাম। ২ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করেছি। তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি। বাংলার মানুষের সহানুভূতি আছে। আমি নিজেও মিছিল করেনি।

পরিবারের সঙ্গে আমরা একমত। সিবিআই দ্রুত তদন্ত শেষ করুক। আমাদের হাতে মামলাটি নেই। সিবিআই সম্বন্ধেও কিছু বলতে চাই না এখন।

সরাসরি সম্প্রচারে আমাদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে। আমরা এমন কিছু করতে চাইনি, যাতে অচলাবস্থা চলতে পারে।

চিঠিতে আমরা লিখেছিলাম, সরাসরি সম্প্রচার করতে পারব না। ওরা যে কোনও ইস্যু তুলতে পারতেন। সেটা ওঁরা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারতেন। আমরা যুগ্মভাবেও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম।

আমাদেরও কাজ আছে। প্রতিদিন এভাবে অপেক্ষা করানো হচ্ছে। ওঁরা কেন আসছেন না, সেটা সাংবাদিক বৈঠক করেও জানাতে পারতেন। তা করেননি।

আমি তিন বার চেষ্টা করলাম। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩২ দিন হয়ে গেল। অনেকেই কাজ করছেন না। সাত লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাননি। যে কোনও মৃত্যু মর্মান্তিক। কিন্তু এত মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এর থেকে লজ্জার কী হতে পারে?

পৌনে ৫টা থেকে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি। আমার ভাইবোনেদের শুভবুদ্ধি উদয় হবে, তাঁরা আসবেন, ভেবেছিলাম। আসতে বলে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম প্রথমে। ওঁরা আসবেন বলেছিলেন। আমার সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি ও প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ছিলেন। আমরা সকলে ফোন ছাড়া এখানে বসে ছিলাম এতোক্ষণ, এই সময়ের মধ্যে কোনো এমার্জেন্সি ঘটতে পারতো, সেই খবর আমরা জানতেও পারতাম না,

অনেকে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বাইরে প্রেসের কিছু লোকের থেকে জানলাম ওদের কাছে ফোন আসছে কোনো রকম নেগোশিয়েট না করার জন্য, মিটিং এ না ঢোকার জন্য। তাই নবান্নর গেটে এসেও তারা ভেতরে এলেন না, আমি আমার সাধ্যমতন চেষ্টা করলাম ৩ দিন, তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি ওনাদেরও ক্ষমা করলাম কারণ কতদের ক্ষমা করে বড়দের কাজ। এরপরও ওনারা বসতে চাইলে মুখ্য সচিব, চন্দ্রিমা ওদের সাথে বসবে।

আশা করেছিলাম, ছোটরা এসে কথা বলবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সময় পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার যা করবে, তাতে বাধা দেব না, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে।

আন্দোলনে আমার জন্ম, আমি তাকে সম্মান করতে জানি, আমি এমার্জেন্সির পক্ষে নই, আমি একজন মানবিক মানুষ।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

নিম্নচাপের পরে ফের ভারী বৃষ্টি? সতর্কতা বাংলার জেলায়
FacebookWhatsAppEmailShare
কোচবিহারে নররক্তেই পুজো হয় বড়দেবীর
FacebookWhatsAppEmailShare
উৎসবের আবহে ফের করোনা-আতঙ্ক
FacebookWhatsAppEmailShare