দাবি পূরণে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা
গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁরা। পালন করছেন কর্মবিরতি। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডেকেছিল রাজ্য সরকার। দু’ঘণ্টা ধরে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা আসেননি। নবান্নের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে এও জানালেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশা রাখি। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে বলেও আমরা বিশ্বাস করি।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা খোলা মনেই আলোচনা করার জন্য নবান্নে এসেছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন দু ঘন্টা ধরে এ কথা প্রশাসনের তরফে আমাদের জানানো হয়নি।” সেই ব্যর্থতাকে সামনে রেখেই অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-কে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতিকে তাঁরা জানিয়েছেন, অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী নয় রাজ্য সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিতে কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না তারা। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তদন্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে যে সব সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তাদের পদ থেকে অপসারণের দাবিও মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনও তৎপরতা নেই।
যার ফলে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।রাষ্ট্রপতিকে চিকিৎসকদের চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এব্যাপারে রাষ্ট্রপতি বা কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু করার নেই। যা করার রাজ্যকেই করতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তবে চিকিৎসকদের সব জায়গায় সুবিচার চাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই তারা চিঠি দিয়েছেন।