যে কারণে বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা হয়
শাস্ত্র অনুযায়ী দুর্গাপুজোর প্রতিটা রীতি নীতির আলাদা আলাদা মানে রয়েছে। পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং বিজয়া দশমী। দুর্গাপুজোর প্রতিটা দিনের আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। বিজয়া দশমীর সবথেকে বড় আকর্ষণ থাকে সিঁদুর খেলা। বিবাহিত মহিলারা এদিন মা দুর্গাকে সিঁদুর পড়িয়ে বরণ করার পর নিজেরা একে অপরের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। এর পিছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে সিঁদুর খেলার একাধিক কারণ।দেবী দুর্গার সঙ্গে মহিষাসুরের লড়াই চলেছিল টানা নয় দিন।
নয় দিন যুদ্ধের পরে এই বিজয়া দশমীতেই তিনি জয়লাভ করেন। ফলে এই দিনটি উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে সিঁদুর খেলা হয় বলে মত অনেকের। অনেকের মতেই এই সিঁদুর আসলে বিজয়ের প্রতীক। অনেকের মতে, যেহেতু সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক, তাই বিবাহিত নারীদের কাছে সিঁদুর খেলার অর্থ হল ব্রহ্মের আশীর্বাদ পাওয়া। আর সেটি পেলে স্বামী এবং সংসারের মঙ্গল হয়। সেই কারণেই তাঁরা সিঁদুর খেলেন। আর এক মত হল, দেবী দুর্গা যেহেতু বিবাহিতা, তাই তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় জানানোর সময়ে সিঁদুর পরিয়েই দেওয়াই নিয়ম। আর সেখান থেকেই সিঁদুর খেলার জন্ম। তার সঙ্গে মিষ্টিমুখ করানোর রেওয়াজ বলেও মনে করা হয়।