আজ পাহাড়ে চা শ্রমিকদের ১২ ঘণ্টার বনধ
আজ পাহাড়ে পালন করা হচ্ছ ১২ ঘণ্টার বনধ। চা শ্রমিকদের যৌথ সংগঠনের ডাকেই এই বনধ। চা শ্রমিকরা দাবি করেছেন ২০ শতাংশ হরে বোনাস। এই নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে ৪টি, কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় এই বনধের ডাক।
মোট ৮৭টি চা বাগানের বোনাস নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। চা বাগানের মালিকরা সেই বৈঠকে জানান, ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ বোনাস দিতে রাজি। সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই বন্ধ চলবে বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট ফোরামের সদস্যরা।
২০১৭-র পর আবার আবার ২০২৪-এ বোনাসের দাবিতে বনধে ফিরেছে পাহাড়। সকাল থেকেই কার্শিয়াং কালিম্পঙ মিরিক সহ পাহাড়ের সর্বত্র পরিস্থিতি থমথমে। আগামীকাল থেকে তারা পাতা না তুলে বিক্ষোভ চালাবেন লাগাতার।পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা। দার্জিলিঙের রোহিণী টোল প্লাজার সামনেও পথ অবরোধ করেছেন বনধ সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে থাকায় দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। ভারতীয় জনতা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজপিএম) এই বন্ধকে সমর্থন করেছে। সকাল থেকে কিছু গাড়ি পাহাড়ে গেলেও সেগুলিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
চা বাগানগুলিতে বন্ধ কাজ। খোলেনি স্কুল-কলেজও। তবে জরুরি পরিষেবায় ছাড় রয়েছে। সামনেই পুজো, পুজোর সময় বহু পর্যটক পাহাড়ে ঘুরতে যান। এই বিক্ষোভ চললে আগামীদিনে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
এই মুহূর্তে পাহাড়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য রবিবারই সেখানে গিয়েছেন। তার সফরের মাঝখানেই এই বনধ। তবে কি চা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি, নজর থাকবে সেদিকেই।