বাংলা বিভাগে ফিরে যান

পিতৃপক্ষেই কেন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়

অক্টোবর 1, 2024 | < 1 min read

এসে গেল মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ দিন। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণ প্রতিপদ তিথিতে শুরু হয়ে অমাবস্যা পর্যন্ত এক পক্ষকাল সময়কে বলা হয় পিতৃপক্ষ। পরের দিন শুক্লা প্রতিপদে সূচনা হয় দেবীপক্ষের। মা দুর্গাকে আবাহন করার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। কোজাগরী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে দেবী পক্ষ।পিতৃপক্ষের শেষে পিতৃ তর্পণ নিয়ে হিন্দু ধর্মে নানা রীতিনীতি রয়েছে। সনাতন ধর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষের সূচনা হয়।

মানুষের বিশ্বাস, এসময় পূর্বপুরুষরা পিতৃলোক ছেড়ে করে তাঁদের উত্তরপুরুষদের বাড়িতে অবস্থান করেন। শাস্ত্র মতে কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তার আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। শাস্ত্র মতে, প্রয়াত পূর্বপুরুষদের শান্তি ও মুক্তি দেওয়ার দায়িত্ব পরবর্তী বংশধরদেরই। সেই দায়িত্ব পালন না করলে ক্রুদধ হন পূর্বপুরুষেরা। আর তাতে বংশধরদের জীবনে জীবনে নানা বিপর্যয় নেমে আসে।তর্পণ শব্দটি এসেছে ত্রুপ থেকে। এর মানে সন্তুষ্ট করা।

এমন বিশেষ দিনে, দেবতা, ঋষি ও পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে জল অর্পণ করা হয়। এই জল নিবেদন করে দেবতাদের সন্তুষ্ট করার পদ্ধতিতে তর্পণ বলা হয়। তর্পণের সময় জল, তিল, চন্দন, তুলসীপাতা ও ত্রিপত্রী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের তর্পণের মধ্যে রয়েছে ‘তিল-তর্পণ’ অর্থাৎ জল ও তিল একসঙ্গে নিয়ে পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে নিবেদন করা।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

‘সব জরুরি কাজই করবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা’, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
FacebookWhatsAppEmailShare
‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গড়ল স্বাস্থ্যভবন
FacebookWhatsAppEmailShare
পুজোর আগে ঘুরপথে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার বেশ কিছু ট্রেন
FacebookWhatsAppEmailShare