Durga Puja 2024

দ্রোহ কার্নিভালে উদ্দাম নৃত্য, দুর্ভোগ পোহাতে হল মানুষকে

পুজো কার্নিভালের পাশাপাশি তিলোত্তমার বুকে হলো দ্রোহের কার্নিভাল। দ্রোহের কার্নিভালপ্রতিবাদের মিছিলের ব্যানারে লেখা ছিল —‘বিচার যখন প্রহসন, লড়াই তখন আমরণ’।ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে ২০টি ঢাক বাজিয়ে, হাজার কালো বেলুন উড়িয়ে ‘উৎসবে’ শামিল হলেন আন্দোলনকারীরা। চলল দেদার নাচ-গান, হাততালি, কোলাকুলি। তার জেরে ভুগতে হল আম জনতাকে। যানজটে নাকাল হয়ে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে অতিরিক্ত দু’-আড়াই ঘণ্টা

পুজোয় কলকাতা মেট্রোয় রেকর্ড ভিড়

পুজোর সময় রাস্তায় যানজট এড়াতে বেশিরভাগ যাত্রীর প্রথম পছন্দ মেট্রো। সেই মেট্রোই পুজোর ভিড়ে ছাড়িয়ে গেল গতবারের সংখ্যা। এবার চতুর্থী থেকে দশমী পর্যন্ত মেট্রোয় চড়েছেন ৫০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। যা গতবারের থেকে ১.৭৭ শতাংশ বেশি। মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এই সাড়ে ৫০ লক্ষ যাত্রীর মধ্যে ব্লু লাইনে যাত্রীর সংখ্যা ৪৪ লক্ষ

আজ রেড রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভাল

আকাশে বাতাসে এখন বিষাদের সুর কারণ মা দুর্গা আবার কৈলাসে ফিরে গেছেন। বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসবের রেশ যেন কাটছেই না। তবে এই বিষাদের মাঝেও খুশি মেলে একমাত্র এই তিলোত্তমা কলকাতায়। পুজো শেষ হলেও রেড রোডের কার্নিভাল এখনও বাকি। আজ (১৫ অক্টবর) সেই অনুষ্ঠান। এই উপলক্ষে উঠেছে শহর কলকাতা। এইবছর এখনও পর্যন্ত

দশমীর দিনে কেন ওড়ানো হতো নীলকণ্ঠ পাখি?

আজ বিজয়া দশমী। মায়ের কৈলাস ফিরে যাওয়ার দিন। এদিনটায় প্রত্যেক বাঙালির মন থাকে ভারাক্রান্ত। আবার অপেক্ষা গোটা একটা বছরের। এবছরের মতো শেষবার মায়ের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে আগামী বছরের প্রতীক্ষার কাউন্টডাউন, সবকিছু নিয়েই আজকের বিজয় দশমী। দশমীর নানা রীতি রেওয়াজের মধ্যে আগেকার দিনে কোথাও কোথাও ছিল নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা। আসলে নীলকণ্ঠ

নবমীর রাতে আগমনী শুনিয়ে দেবী দুর্গাকে জাগিয়ে রাখতে হয়

নবমীতে দেবী দুর্গাকে আগমনী গান শোনানো হয় বরাকরের মুখোপাধ্যায় পরিবারে। নবমীর সারারাত মা’কে জাগিয়ে রাখা হয় গান শুনিয়ে। অন্যথা হলেই ঘটেছে বিপদ। 329 বছর ধরে বরাকরের মুখোপাধ্যায় পরিবারে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে বলে জানালেন পরিবারের সপ্তম পুরুষ কানাইলাল মুখোপাধ্যায়। এক সময় কাশেম বাজার রাজার এস্টেটের নায়েবিয়ানা করতে বরাকরে এসেছিল এই মুখোপাধ্যায় পরিবার। উদ্দেশ্য ছিল রাজার দেবতাদের

ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরে অষ্টমীর ভোগ নিজেই রাঁধেন দুর্গা!

সাজো সাজো রব ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড় কনক দূর্গা মন্দিরেও। এবারও প্রথা মেনেই পুজো হবে এই ঐতিহ্যবাহী দুর্গা মন্দিরে। তবে জানেন কি, এই মন্দিরের মা দুর্গা কিন্তু দশভূজা নন। দেবী এখানে অশ্বারোহিণী চতুর্ভূজা। চারশো বছরেরও বেশি সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে এখানে।ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে জঙ্গল। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ডুলুং নদী। সেখানেই রয়েছে মায়ের

অষ্টমীতে কোন কোন পুজো দেখবেন?

শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। মহালয়া থেকেই কলকাতার একাধিক মণ্ডপে ভিড় শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। শুধু কলকাতা কেন, জেলায় জেলায়ও এবার মহালয়ার পর থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু হয়েছে।জেনে নিন কলকাতার সেরা কিছু পুজোর সম্পর্কে ১. শ্রীভূমি স্পোর্টিং (পূর্ব কলকাতা): দুর্গা পুজো মানেই কলকাতার যে যে পুজোগুলি শীর্ষে থাকে, তার মধ্যেই শ্রীভূমির নাম না করলেই নয়।  এই

থিমের ভিড়েও অম্লান শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোর সাবেকিয়ানা

দুর্গাপুজোয় থিমের ভিড়ে আজও স্বাতন্ত্র্য ধরে রেখেছে শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। শহরের অলিগলিতে থিমের পুজো দেখতে যেমন মানুষ ভিড় করেন, তেমনই শোভাবাজারের ঠাকুরদালানেও তিল ধারণের জায়গা মেলে না পুজোর পাঁচ দিন। সাবেকিআনাই এই পুজোর মূল আকর্ষণ। পলাশিতে ইংরেজদের জয়ের বছরেই শোভাবাজারে রাজা নবকৃষ্ণ দেব ধুমধাম করে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। পুত্রসন্তান না হওয়ায় ১৭৬৭-’৬৮ সাল নাগাদ রাজা

সপ্তমীতে দেবী দুর্গার আরাধনা নয়, মহিষাসুর বধে চোখের জলে ভাসে এই গ্রাম!

সারা বিশ্ব উৎসবে খুশিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে তখনই শোকে মুহ্যমান থাকে পুরুলিয়ার এক আদিবাসী সম্প্রদায়। দুর্গার আগমনের উৎসব নয় বরং মহিষাসুরের পরাজয়ের শোক পালন করেন তাঁরা। পুরুলিয়া জেলার ফলাওরা গ্রাম। সেখানেই বাস খেরওয়াল সাঁওতালদের। তাঁদের মতে দুর্গা আসলে এক উচ্চবর্ণের নারী। যিনি ছল করে তাঁদের রাজা হুদুর দুর্গা অর্থাৎ মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। তাই এখানে দুর্গতিনাশিনী

সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নান, এই নবপত্রিকাই কি আসলে কলাবউ?

কেউ বলেন কলাবউ। আবার গণেশের পাশে থাকে বলে কেউ কেউ বলেন গণেশের বউ। আসলে সেটি নবপত্রিকা। দেবী দুর্গার পূজার সঙ্গেই ওতপ্রোত জড়িয়ে এই নবপত্রিকার পূজা। নবপত্রিকার পূজা আসলে ইঙ্গিত দেয় মানুষের উৎসব পালন এবং ধর্মাচরণের বহু প্রাচীন রীতির। তাই দুর্গাপুজোর যেমন মাহাত্ম্য, তেমনই স্বতন্ত্র তাৎপর্য আছে নবপত্রিকা এবং তার পুজোরও।নবপত্রিকা আসলে দুর্গারই রূপ। এই গাছ