রাজ্যপাল মনোনীত, খবরদারিতে না সুপ্রিম কোর্টের
বিগত কয়েক বছরে বাংলায় রাজ্যপাল বনাম রাজ্যের সংঘাত দেখা গিয়েছে বারংবার। প্রথমে জগদীপ ধনখর, তারপর সিভি আনন্দ বোস – দুই পূর্ণ রাজ্যপালের সঙ্গেই সংঘাতে জড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একই ঘটনা দেখা গিয়েছে বিরোধী শাসিত কেরল, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবে। সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিলো সুপ্রিম কোর্ট।
তাঁরা যে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন, বিধানসভায় পাশ হওয়া সিদ্ধান্তের উপরে খবরদারি করা যে তাঁদের শোভা পায় না – এমনটাই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সরকারের সঙ্গে বিজেপির রাজ্যপাল বানোয়ারীলাল পুরোহিতের সঙ্ঘাত তীব্র। রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতকে জানায় যে বিধানসভায় পাশ হওয়া কিছু বিলে কিছুইতেই মান্যতা দিচ্ছেননা মহামহিম। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, “রাজ্যপালদের সামান্য একটু আত্মানুসন্ধান করা জরুরি। তাঁদের মনে রাখতে হবে, রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। বিধানসভা কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তাকে গুরুত্ব দেওয়াটা জরুরি।”
ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালের কাজ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।