আর জি কর কাণ্ডে কেন্দ্রকে দুষল সুপ্রিম কোর্ট
দিন কয়েক আগেই আরজি কর মামলার তদন্তে প্রথম চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। সেখানে ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসাবে সিবিআই এক জনের নামই দিয়েছে। আরজি করের ঘটনার পর পরই কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত হিসাবে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে দেয়। সিবিআই সেই সিভিক ভলান্টিয়ারকেই ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। এ ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের।
আর জি কর কাণ্ডের ষষ্ঠ শুনানিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, জাতীয় টাস্ক ফোর্স যে গঠিত হয়েছিল, তার কাজের বিশেষ কোনও অগ্রগতি হয়নি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সিবিআইয়ের তরফে হাজির সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চান, জাতীয় টাস্ক ফোর্সের অবস্থী কী? তাদের কাজের গতিপ্রকৃতি কী? যা কিনা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে দিশা দেখাবে। প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, তাড়াতাড়ি যেন এনটিএফ তাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে। তার জন্য কেন্দ্রকে জরুরি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার জানায় আদালত নির্দেশিত ৯০-৯৮ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারি ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই কাজ হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, তারা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করেছে।প্রধান বিচারপতি বলেছেন, প্রতি পদে কোনও নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া আমাদের কাজ নয়। যাই হোক বিষয়টি দেওয়ালির ছুটির পর আবার উঠবে। শুনানি আজকের মতো শেষ, জানান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।