উত্তর কলকাতার কিছু পুজোর থিম একনজরে (পর্ব ২)
শপিং থেকে পুজোর প্ল্যানিং, সবমিলিয়ে বাঙালির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। একনজরে দেখে নিন উত্তর কলকাতার কিছু বিখ্যাত পুজোর থিম।
হাতিবাগান সর্বজনীন: এবছরের থিম ‘দোসর’। একদিকে থিমের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা হচ্ছে। পাশাপাশি, সুদীর্ঘ ৮৯ বছরের পুজোর পরম্পরা অনুসরণ করে এক চালার ঠাকুরও তৈরী হচ্ছে। এখানে সাবেকিয়ানা আর আধুনিকতা হয়ে উঠছে একে অপরের দোসর।
জগৎ মুখার্জী পার্ক: শোভাবাজার অঞ্চলের এই পুজোর এবারের থিম ‘ন্যুড মডেল’। থিম তৈরি হয়েছে বিখ্যাত ন্যুড মডেল ফুলকুমারী দাসকে ঘিরে। ৬৪ বছরের ফুলকুমারী দাস দীর্ঘ ৪ দশক ধরে আর্ট কলেজের পড়ুয়াদের জন্য লাইফ ন্যুড বা নগ্ন মডেল হিসেবে কাজ করে চলেছেন। তাই ফুলকুমারী দাস ও তাঁর মতো আরও যাঁরা আছেন, তাঁদের সম্মান জানাতেই এই থিম। বিকাশ ভট্টাচার্য, গণেশ হ্যালোই, যোগেন চৌধুরী, চিন্তামণি করের মতো শিল্পীদের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন এই ফুলদি। এই পুজোও তিনিই উদ্বোধন করবেন। ১৬ বছর বয়সে আসা এই শিল্পীর জীবনকাহিনী চলবে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে। এখানে দর্শনার্থীদের জন্যও ভোগের আয়োজন হয়।
চোরবাগান সর্বজনীন: ৮৮ বছরে এই পুজোর এবারের থিম অনুভূতি। বিভিন্ন অনুভব যে স্তরে স্তরে অনুভূতিতে পৌঁছায় তাই ফুটিয়ে তোলা হবে। প্রতিমা শিল্পী সুব্রত মৃধা। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমা তৈরী করেছেন। এনারা থিম পুজো শুরু করেন ২০১৭ সালে। বিখ্যাত সংগীতশিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্রের বানানো গানই বাজবে এখানে থিম সং হিসেবে।
কাশী বোস লেন: হাতিবাগানের এই পুজোর এবারের থিম নারী পাচার। দেবীপক্ষ শুরুর আগেই এখানে চক্ষুদান হয়ে গেছে। শিশু পাচার, নারী পাচারের প্রতিবাদে গর্জে ওঠার সামাজিক বার্তা দিতেই এই ভাবনা। তবে এবার তারা এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। ৮৬ জন করলেন স্বেচ্ছায় চক্ষুদান। শিল্পী রিন্টু দাস, প্রতিমা শিল্পী অমর পাল আর আবহ ও কথনে আছেন কবি শ্রীজাত ও দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব: এবছর এই পুজো ৫১ বছরে পদার্পণ করল। এবারের থিম প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড। চূড়ান্ত ব্যস্ততায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, ইতিমধ্যেই মণ্ডপে চলে এসেছে প্রতিমা।
লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ: শহর কলকাতার এক বড় পুজো লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ। এই বছর ৬১তম বর্ষে পা দিয়েছে তারা। তাদের থিম ‘বিসৃত বিস্ময়-প্রশান্তে অক্ষয়’।