২০১৯-এর পর থেকেই জারি কংগ্রেস ছাড়ার হিড়িক
![Ghulam Nabi Azad Resigns From Congress, Attacks Rahul Gandhi, Sonia Gandhi](https://images.thequint.com/thequint%2F2022-08%2Fdbbeb422-0cbc-4845-a172-5841538dc116%2FGhulam_1.jpeg?rect=0%2C0%2C1280%2C720)
মুম্বাইয়ের দেওরা পরিবারের সঙ্গে গান্ধীদের সম্পর্ক আজকের নয়, গত পাঁচ দশকের। মুরলী দেওরার পুত্র মিলিন্দ গতবারও দক্ষিণ মুম্বাই আসন থেকে হাত চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এবং তাঁর প্রচারের জন্য ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন খোদ মুকেশ আম্বানি। এবার সেই মিলিন্দ যোগ দিলেন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনায়।
কিন্তু এই প্রথম নয়। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দেশজুড়ে লেগে রয়েছে কংগ্রেস ছাড়ার হিড়িক। গান্ধীদের হাত ছেড়েছেন বহু নেতা।
২০২২ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করেন কপিল সিব্বল। উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে, সমাজবাদী পার্টির সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন এর পরে। একই বছর দল ছাড়েন আরেক প্রবীণ নেতা – গুলাম নবী আজাদ। আজাদ অবশ্য সবসময়েই রাহুল গান্ধীর সমালোচক ছিলেন। গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আজ়াদ পার্টি নামে নিজের দল খোলেন তিনি।
নবীন নেতাদের মধ্যে একই বছর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন গুজরাটের পতিদার নেতা হার্দিক পটেল। প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমারও দল ছাড়েন একই বছর, পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের আগে।
২০২২-এই পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল জাখর এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরপিএন সিংহ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
২০২০ সালে কংগ্রেস ছাড়েন গোয়ালিয়র রাজপরিবারের ‘মহারাজা’ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বর্তমানে তিনি দেশের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী। পাঞ্জাবের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমৃন্দর সিং ২০২১এ দল ছেড়ে নিজের দল তৈরি করে সেই দল মিশিয়ে দেন বিজেপিতে। ২০২১ সালে হাত শিবির ত্যাগ করেন একদা রাহুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতিন প্রসাদ।
দলছুটদের তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোর, ইউপিএ আমলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির পুত্র অনিল অ্যান্টনিও।
এই রক্তপাত কোথায় থামবে, বুঝে উঠতেই অপারগ কংগ্রেস নেতৃত্ব।