তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও আলাদা সংরক্ষণের সুযোগ: ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যেকোনো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মসংস্থানে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের মধ্যে একটি অংশকে চিহ্নিত করে আলাদা করে সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ, এবার তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত মানুষদের মধ্যেও হবে শ্রেণী বিভাজন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলির, এমনটাও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায়ে জানিয়েছে, ‘‘উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না।’’ ২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে আলাদা শ্রেণি বিন্যাসের দাবি খারিজ করে দেয়। কিন্তু এবার আদালতের ৭ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে এটি প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছয়নি, কারণ এই বিষয়ে বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।