সপ্তমীতে কোন কোন পুজো দেখবেন?
শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। মহালয়া থেকেই কলকাতার একাধিক মণ্ডপে ভিড় শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। শুধু কলকাতা কেন, জেলায় জেলায়ও এবার মহালয়ার পর থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু হয়েছে।জেনে নিন কলকাতার সেরা কিছু পুজোর সম্পর্কে
১. টালা প্রত্যয় (উত্তর কলকাতা): প্রত্যেক বছর থিমের ক্ষেত্রে বিশেষ চমক রাখে টালা প্রত্যয়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ২০২৪ সালে টালা প্রত্যয়ের থিম ‘বিমূর্ত’। গত কয়েক বছর ধরেই টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে ছিলেন শিল্পী সুশান্ত পাল। এইবারও তাঁর হাতেই সেজে উঠেছে মণ্ডপ। টালা পার্কের কাছেই হয় এই পুজো। মেট্রোয় বেলগাছিয়া স্টেশনে নেমে হেঁটে পৌঁছতে পারেন। বিটি রোড দিয়ে যেতে হলে টালা পার্ক স্টপেজে নামুন। যশোহর রোড দিয়ে পৌঁছতে পারেন মিল্ক কলোনি বা বেলগাছিয়া মোড়ে। সেখান থেকে অল্প হাঁটা।
২. বাগবাজার সর্বজনীন (উত্তর কলকাতা): বাগবাজারের দুর্গাপুজো শুরু হয় ১৯১৮ সালে। স্থানীয় কিছু যুবক এক ধনীলোকের বাড়িতে দুর্গাঠাকুর দেখতে গিয়ে অপমানিত হন। পরের বছর তাঁরা বারোয়ারি পুজো চালু করেন। সবার জন্য তাঁরা উন্মুক্ত করে দেন পুজোমণ্ডপের দ্বার। এই পুজোর উদ্যোক্তা ছিলেন রামকালী মুখোপাধ্যায়, দীনেন চট্টোপাধ্যায়, নীলমণি ঘোষ, বটুকবিহারী চট্টোপাধ্যায়। পরে এই পুজোই পরিণত হয় সর্বজনীন দুর্গাপুজোয়। বাগবাজার স্ট্রিটের উপর হয় এই পুজো। বাগবাজার ঘাট থেকে হাঁটাপথ। শ্যামবাজার থেকে বাগবাজার স্ট্রিট ধরে গেলে গিরিশ মঞ্চের পাশে।শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন থেকে হাঁটাপথ। গঙ্গাপথেও ফেরিতে বাগবাজার ঘাটে নেমে যাওয়া যায়। চক্ররেলের বাগবাজার স্টেশনে নেমেও যেতে পারেন।
৩. কাশী বোস লেন (উত্তর কলকাতা): ৮৭ বছরে পা দিয়েছে কাশী বোস লেন সর্বজনীনের দুর্গাপুজো। ১৯৩৭ সালে অনুশীলন সমিতির কয়েকজন সদস্য, কাশী বোস লেনে দুর্গাপুজো আরম্ভ করেন।উত্তর কলকাতার এই পুজোয় প্রতি বছর রেকর্ড ভিড় হয়। দর্শকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা থাকে এই পুজো মণ্ডপ। বিধান সরণির উপরে মণ্ডপ।মেট্রোয় শোভাবাজার স্টেশনে নেমে হাতিবাগানে আসবেন। সেখান থেকে কাশী বোস লেনে যাওয়া যায়। বাসে এলে বিধান সরণির উপর স্কটিশচার্চ স্কুল স্টপেজে নামতে হবে।