১৫ই জুন পর্যন্ত স্থগিত কুস্তিগিরদের আন্দোলন
কুস্তিগিরদের আন্দোলনের চাপে অবশেষে নতি স্বীকার করবে কি কেন্দ্র? এই আন্দোলনের সূত্রপাত দিল্লি পুলিশের এফআইআর না নেওয়া নিয়ে। তারপর শুরু হয় যন্তর মন্তরে ধর্ণা। জোর জবরদস্তি সেই ধর্ণা উঠিয়ে দেওয়ার পর দেশ ব্যাপি ছড়িয়ে পরে সেই আন্দোলন।
কুস্তিগিরদের এই আন্দোলন থামাতে এবার আসরে নামল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের ত্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর টুইট করে কুস্তিগিরদের আলোচনায় বসতে আহ্বান জানান। গত শনিবার অমিত শাহের সাথে আলোচনায় বসেন কুস্তিগিররা। আজ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর বাসভবনে গেছেন সাক্ষী মালিক ও বজরং পুনিয়া।
এই বৈঠকে মোট পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকেরা।
১) জাতীয় কুস্তিগির সংস্থায় অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচন করতে হবে।
২) কুস্তি সংস্থার মাথায় মহিলা প্রধান নিয়োগ করতে হবে।
৩) ব্রিজভূষণ এবং তার পরিবারের কেউ যেন জাতীয় কুস্তি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকতে না পারেন।
৪) নতুন সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করায় কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ জানানো হয়েছে তা খারিজ করতে হবে।
৫) গ্রেফতার করতে হবে ব্রিজভূষণকে।
কুস্তিগিরদের সাথে বৈঠকের পর অনুরাগ ঠাকুর তদন্তের জন্য ১৫ই জুন অবধি সময় চেয়েছেন। ততদিন কুস্তিগিররা স্থগিত রাখবে আন্দোলন। সাক্ষী এবং পুনিয়া জানিয়েছে আন্দোলন এখানেই শেষ নয়।