রাজনীতি বিভাগে ফিরে যান

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংগঠিত হচ্ছে রেল হকাররা

সেপ্টেম্বর 21, 2023 | 2 min read

ভারতীয় রেল কে দেশের নার্ভাস সিস্টেম বললে কম বলা হয়। সেই রেল ব্যবস্থার সুরক্ষায় নিয়োজিত কেন্দ্রের বাহিনী RPF। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনারা দেখবেন স্বৈরাচারী শাসকের নির্দেশে কিভাবে রক্ষকরাই হয়ে উঠেছে ভক্ষক।

ট্রেনে করে বাংলার যেকোনো প্রান্তে চলে যান, চোখ খোলা রাখলে কয়েকটা জিনিস লক্ষ্য করবেন। প্রথমত, আরপিএফদের বাংলায় কথা বলতে দেখবেন না। দ্বিতীয়ত, কপাল ভালো থাকলে IRCTC স্টলে বাংলায় কথা বলতে দেখবেন। তৃতীয়ত, জংশন স্টেশনগুলো থেকে দুটো তিনটে স্টেশন পর থেকে বেশিরভাগ হকারদের বাংলা ভাষায় ফেরি করতে দেখবেন।

তাহলে কি দাঁড়ালো, বাঙালি আরপিএফ হতে পারে না, IRCTC স্টলের টেন্ডার পায় না, রোজগারের জন্য কেবল হকারি করে। আপনার মনে হতেই পারে, RPF ট্রান্সফারের চাকরি, তাই এই রাজ্যে বাঙালি RPF নেই, কিন্তু ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে বাঙালি RPF পোস্টেড্ সেটা একটা প্রশ্ন। IRCTC স্টলের টেন্ডার সে আরেক রহস্য।

এই সব প্রশ্ন রহস্য দূরে সরিয়ে, আপনাদের একটা তথ্য দিই, রেল চত্বরে হকারি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, ১৪৪ ধারা দিয়ে RPF হকারদের ১ বছর জেল খাটাতে পারে অথবা ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে। এবার ভাবুন, ভারতবর্ষের মতো জনবহুল দেশে এই আইন কতটা বাস্তব সম্মত? এই সমস্যার একটাই সমাধান আইন বদলানো, হকারদের লাইসেন্স দেওয়া। কিন্তু সেসব না করে এই আইন ব্যবহার করে রেলের বেসরকারিকরণের পথ প্রশস্ত করছে রেল। কারণ হকারদের থেকে সস্তায় প্রোডাক্ট কোনো কোম্পানির বেচতে পারবে না।

শুধু ট্রেন চালানোর জন্য কোনো পুঁজিপতি স্টেশন বা ট্রেন কিনতে চায় না, তার লক্ষ্য থাকে রেললাইনে নিজের প্যাকেজেড প্রোডাক্টও বেশি মুনাফায় বিক্রি করা। তাহলে মার্কেটে মনোপলি আনা যাবে কি করে? কেন হকারদের ফাইন করে, ফাইন না দিতে চাইলে লাঠি চার্জ করে, জেলে ঢুকিয়ে। ঠিক যেমন ভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার তাঁতিদের বুড়ো আঙ্গুল থেঁতলে দিয়ে ম্যানচেস্টারের কাপড় বাংলায় বিক্রি করেছিল। এখানে অবশ্য ইস্ট নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, বাংলার অর্থনীতি কর্মসংস্থান ধ্বংস করে পশ্চিম ভারতের এক রাজ্যের পুঁজিপতিদের আরো বড়োলোক বানানোর পরিকল্পনা চলছে।

হাওড়া স্টেশনে ১৬ই সেপ্টেম্বর রেল হকারদের উচ্ছেদের জন্য লাঠি চালায় রেলরক্ষী বাহিনী। এই অমানবিক লাঠি চার্জের প্রতিবাদে হাওড়া DRM অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলে গ্রেফতার করা হয় জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস সহ সংগঠনের ২৪ জন সদস্যকে। এই ঘটনা চলমান আন্দোলনের আগুনে ঘিয়ের কাজ করে। রেল অবরোধ শুরু হয় কখনও হুগলী, কখনও আবাদা, কখনও নলপুর রেল স্টেশনে। ২০ সেপ্টেম্বর বাংলার সকল শ্রমিক সংগঠনগুলিকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে আহ্বান জানায় জাতীয় বাংলা সম্মেলন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত এআইটিইউসি, ইউটিইউসি, টিইউসিসি- সহ একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

শিয়রে ভোট, দীপাবলির আগেই বাংলায় আসছেন শাহ
FacebookWhatsAppEmailShare
‘কমিশন-বিজেপির সেটিং হয়েছে, বললেন ডেরেক ও ব্রায়েন
FacebookWhatsAppEmailShare
মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে কবে বিধানসভা ভোট? বাংলার কেন্দ্রেও ঘোষণা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ!
FacebookWhatsAppEmailShare