মাঝরাতে আর জি করে ধুন্ধুমার
রাত তখন ১২.২০, মেয়েদের রাত দখলের মিছিল চলছে দিকেদিকে। আর জি করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাঝে আচমকাই ঢুকে পড়ে ২০-৩০ জনের একটি উন্মত্ত দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এরা আন্দোলনকারী নন এরা বেলগাছিয়া বস্তি ও চিতপুরের লোক। তাদের হাতে ছিল লোহার রড। আচমকাই তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে প্রথমে ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীদের মঞ্চ, তারপর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এইসব দুষ্কৃতী। হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কার্যত। সূত্রের খবর সেইসময় হাসপাতাল চত্বরে থাকা গুটিকয়েক পুলিশ ওই উন্মত্ত জনতার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচেন।
এরপর পুলিশ র্যাফ ও টিয়ার গ্যাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও দূর থেকে পুলিশের ওপর ইট বৃষ্টি শুরু হয়, এই ঘটনায় পুলিশ সহ প্রায় ৪-৫ জন জখম হয়েছেন।
পরে রাত ২ টো নগদ সিপি বিনীত গোয়েল আসার পর জমায়েত করে থেকে জনতাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও কোন কাজ না হওয়ায় সেই জমায়েতকে কার্যত ধাওয়া করে সরাতে হয় পুলিশকে। এরপরও দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়। অবশেষে ভোর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে পুলিশের।
আন্দোলনকারীরা বারবার জানিয়েছেন এরা বহিরাগত, তারা করা সেবিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তারা বেশ কিছু চিহ্নিত কারীর সন্ধান করছে।
তবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর ভাইরাল হয়েছে, যে ক্রাইম স্পট জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “ক্রাইম স্পটে কেউ ঢুকতে পারেনি, কোন ক্ষতি হয়নি, অযথা ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।”